কিডনির পাথর হওয়ার কারণ, লক্ষণসমূহ এবং প্রতিরোধ করবে যে খাবার
কিডনিতে পাথর হওয়ার কারণ
কিডনির যেসব রোগ বের করা গেছে তার মধ্যে পাথর একটি পুরনো রোগ। পাথরগুলো কেবল কিডনিতে নয়, এর বিভিন্ন অংশে হতে পারে- কিডনিতে হতে পারে, কিডনির ভেতর থেকে বের হওয়া বৃক্ক নালীতে হতে পারে, প্রস্রাবের থলেতে হতে পারে এবং থলে থেকে বের হয়ে অনেক সময় পাথর মূত্রনালিতে আটকা পড়ে। পাথর কেন হয়- এর উত্তর দেওয়া মুশকিল। কেননা বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন অনেক ক্ষেত্রে কারণ জানাই যায় না। তবে কিছু কারণ ধারণা করা যায় যেমন-
১) কিডনিতে বারবার সংক্রমণ এবং যথোপযুক্ত চিকিৎসা না করা।
২) দৈনিক অল্প পানি পান।
৩) খাবারে অধিক লবণ।
৪) কম ফলফলাদি ও শাকসবজি খাওয়া।
৫) বেশি লাল মাংস যেমন-গরু ও খাসির মাংস এবং পোলট্রির মাংস খাওয়া কিডনিতে পাথর হওয়ার অন্যতম কারণ।
৬) বেশি বা খুব কম ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া।
৭) যারা ক্যালসিয়াম জাতীয় ট্যাবলেট প্রচুর পরিমাণে খায় এদেরও পাথর হওয়ার আশঙ্কা বেশি।
৮) যেসব লোকের ইনফ্লামেটরি বাওয়েল রোগ থাকে,
তারা কিডনির রোগ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন।
৯) টপিরামেট জাতীয়
(এটা টোপাম্যাক্স হিসেবে পাওয়া যায়)
ওষুধ কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলো সাধারণত মাইগ্রেনের রোগে ব্যবহার করা হয়।
১০) অতিরিক্ত অক্সালেট জাতীয় শাকসবজি যেমন,
পুঁই শাক,
পালং শাক,
বিট ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে পরিমিত পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
১১) অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ অথবা বাতের ব্যথা কিংবা মূত্রাশয়ে প্রদাহের উপযুক্ত চিকিৎসা না করলে কিডনিতে পাথর হতে পারে।
কিডনিতে পাথর হওয়ার লক্ষণসমূহ
অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোনো উপসর্গ না-ও থাকতে পারে। তবে-
১. মাঝে মাঝে প্রস্রাবের সঙ্গে ছোট ছোট পাথর যাওয়া।
২. হঠাৎ তলপেটে,
নিচের পেটের দুই পাশে বা কোমরে তীব্র ব্যথা।
৩. রক্তবর্ণের লাল প্রস্রাব,
ব্যথা,
জ্বালাপোড়া থাকতে পারে।
৪. ব্যথার সাথে বমি বমি ভাব বা বমিও হতে পারে।
৫. ঘোলাটে এবং দূর্গন্ধযুক্ত প্রস্রাব।
৬. ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বা অল্প একটু হয়েই আর না হওয়া।
৭. কাঁপুনি দিয়ে জ্বর।
তবে আকস্মিকভাবে পেট বা পিঠে ব্যথা অনুভব করা কিংবা প্রস্রাবের সময় ব্যথা অনুভব করা মানেই কিডনিতে পাথরের লক্ষণ নয়,
তবে এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন,
কারণ হতে পারে এটি মারাত্নক কোন রোগের লক্ষণ। এসব উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়ে নিন আসলেই কিডনিতে পাথরের জন্য এমন হচ্ছে কিনা।
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে,
লেবুর শরবত লিভারের ক্ষতিকর টক্সিক উপাদান বের করে। ফলে লিভারের যেকোনো ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
লেবুতে রয়েছে ভিটামিন
`সি`,
পটাশিয়াম,
ক্যালসিয়াম,
ফসফরাস,
ম্যাগনেসিয়াম,
যা দেহের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে লেবু পানি খেলে দেহের ভেতরে পি এইচ লেভেলের ভারসাম্য ঠিক থাকে। ফলে দেহের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
লেবু ত্বক ভালো রাখে,শরীরের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণ করে ও কিডনির পাথরও প্রতিরোধ করে।
লেবুতে রয়েছে আরও অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। লেবুর স্বাস্থ্য উপকারিতার সম্পর্কে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন নর্দার্ ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পুষ্টিবিদ তাসনিম আশিক।
পুষ্টিবিদ তাসনিম আশিক বলেন,লেবুর ভিটামিন
‘সি’তে সমৃদ্ধ। ভিটামিন
`সি`
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই ত্বকে লেবু ব্যবহার করতে পারেন। লেবু ব্যবহারে চেহারায় বয়সের ছাপ কমবে।
তিনি বলেন,
প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে কিছুটা লেবুর রস মিশিয়ে খেলে সারা দিনের হজমশক্তি ভালো থাকে।
এ ছাড়া লেবুতে থাকা ভিটামিন
`সি`
দেহের হরমোনকে সক্রিয় রাখে ও উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
এখন অনেকের মুখে শোনা যায় কিডনিতে পাথরের সমস্যার কথা। লেবুপানি আমাদের শরীরকে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে,
আয়রন শোষণও করে। এ ছাড়া এটি কিডনির পাথর প্রতিরোধে উপকারী।
তবে লেবুর শরবত খেতে হলে অবশ্যই চিনি ছাড়া পান করা ভালো। লেবুর ভিটামিন
`সি`
স্কার্ভি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
তাই প্রতিদিনের খাবার তালিকায় রাখতে পারেন লেবু।
Tags:
Beauty & Fitness