যে কারণে ছেলেদের স্পার্ম ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে


যে কারণে ছেলেদের স্পার্ম ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে



যে কারণে ছেলেদের স্পার্ম ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে


বীর্য (ইংরেজি: Semen) একপ্রকার জৈবিক তরল যা যৌনসঙ্গমের শেষ পর্যায়ে চরম সুখানুভূতি সৃষ্টির সঙ্গে পুরুষাঙ্গ হতে নি:সৃত হয় শুক্রাণূ সমৃদ্ধ পুরুষের বীর্যে নারীর ডিম্ব নিষিক্ত হলে জরায়ুতে মানব ভ্রূণের সৃষ্টি হয় কেবল যৌনসঙ্গম নয়, যৌনানন্দ লাভের জন্য হস্তমৈথুনের মাধ্যমেও বীর্যস্খলন করা হয়ে থাকে এছাড়া স্বপ্নদোষ মাধ্যমে বীর্যপাত হয়ে থাকে বীর্য নানা নামে পরিচিত যার মধ্যে রয়েছে শুক্র, ধাতু বীর্যরস ইত্যাদি বীর্য এক প্রকার অঘনীভূত, ঈষৎ ক্ষারীয়, আঠালো জেলির ন্যায় জৈব তরল যা সাধারণত স্পার্মাটোজোয়া ধারণ করার ক্ষমতা রাখে এটি সাধারণত কোন জীব প্রজাতির পুরুষ কিংবা উভলিঙ্গ প্রাণির অন্ডকোষ থেকে উৎপন্ন হয় এবং প্রজাতির স্ত্রী লিঙ্গের প্রাণির জরাযুতে সৃষ্ট হওয়া ডিম্বাণু নিষিক্ত করার ক্ষমতা রাখে মানুষের ক্ষেত্রে, বীর্যরসে স্পার্মাটোজোয়া ছাড়াও অন্যান্য একাধিক উপাদানের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় এসব উপাদানের মধ্যে প্রোটিওলাইটিক অন্যান্য এনজাইম এবং ফ্রুক্টোজের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য এই উপাদানগুলো মূলত দেহের বাইরে বা দেহাভ্যন্তরে স্পার্মাটোজোয়ার টিকে থাকা নিশ্চিত করে এবং এদেরকেসাঁতরানোরবা চলাচলের জন্য একটি নিরাপদ মাধ্যমের যোগান দেয়

শ্রোণীচক্রে অবস্থিত সেমিনাল ভেসিকল নামক অঙ্গ থেকে বীর্য উৎপন্ন হয় যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বীর্য নিঃসরণ ঘটে তাকে বীর্যপাত বলে

এছাড়াও বংশগতির উপাদান হিসেবে বীর্যের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন বিরল জীব প্রজাতি কিংবা সংকরজাত প্রজাতি সংরক্ষণের জন্য ক্রায়োকনজার্ভেশন প্রক্রিয়ায় তাদের বীর্য সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে এধরনের চর্চাকে জীব-জন্তুর বংশগতির সম্পদ সংরক্ষণ বলা হয়ে থাকে
একটা ছেলে দেখতে সুদর্শন হতে পারে যৌনক্ষমতার দিক থেকে সে একটিভও হতে পারে তার মানে এই নয় যে, সে বাবা হতে সক্ষম সে বাবা হতে সক্ষম হবে কি, হবে না তা নির্ভর করবে তার সিমেনে স্পার্মের কোয়ালিটি পরিমাণের উপর অসতর্কতার কারণে অনেকের স্পার্মের কোয়ালিটি নষ্ট হয়ে যায় এজন্য সচেতনতার বিকল্প নেই

চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, বেশ কয়েকটি কারণে ছেলেদের স্পার্ম ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে নিচে গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি কারণ উল্লেখ করা হলো-

১. সিমেনে স্পার্মের কোয়ালিটি পরিমাণের বিষয়টি কখনো কখনো জেনেটিকভাবে নির্ভর করে আসলে সব রোগেরই কিছু জেনেটিক ব্যাপার থাকে কারো পূর্বপুরুষ যদি সন্তান জন্মদানে অক্ষম থেকে থাকে কিংবা দেরীতে সন্তান হয়ে থাকে তবে তাঁর মধ্যেও সেই প্রভাব পড়তে পারে

২. কোনো পুরুষ যদি ধূমপায়ী হয়, কিংবা নিয়মিত মদ-মাদক সেবন করে থাকে এটি তার সিমেনে প্রভাব ফেলবে এতে করে স্পার্মের কোয়ালিটি কমে যাবে

৩. সে ( ছেলে)  যদি কোনো গরম আবহাওয়াযুক্ত পরিবেশে কাজ করে, বা গরম আবহাওয়ায় বেশি সময় দেয় তাহলেও তার স্পার্ম ক্ষতিগ্রস্থ হবে

৪. অনেকে রোজ গরম পানিতে গোসল করে কারণেও অনেক সময় স্পার্ম কমে যায়

৫. কেউ কেউ খুব টাইট অন্তর্বাস পড়ে এটিও স্পার্মের কোয়ালিটি নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট

৬. এছাড়া ছেলেদের ডায়াবেটিস থাকলে, মানসিক চাপ থাকলে, সে যদি কোনো মেডিসিন ব্যবহার করে, যে মেডিসিনের সাইড অ্যাফেক্ট হিসেবে স্পার্মের কোয়ালিটি নষ্ট হয় তাহলে ছেলেদের স্পার্ম ক্ষতিগ্রস্থ হয়

Post a Comment

Previous Post Next Post