শীতে খুশকি দূর করার কার্যকরী উপায়
সাধারণত
আমাদের মাথার ত্বকের শুষ্কতার কারণেই চুলে খুশকি হয়। এছাড়া
মাথার ত্বকে একজিমা বা ফাংগাস আক্রমনের ফলেও খুশকি হতে পারে।অতি
মাত্রার ধুলাবালি আর ময়লা থেকেও আমাদের মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে ওঠে আর তা থেকেই খুশকি জন্ম নিতে পারে। বাজারে
অনেক ধরনের এন্টি-ডেনড্রাফ শ্যাম্পু রয়েছে। সব
শ্যাম্পু যে কার্যকরী তা নয়। তাই
আসুন , নিজে ঘরোয়া পদ্ধতিতে খুশকিকে দূর করি। জেনে
নেই ঘরোয়া উপায়গুলো
টি
ট্রি অয়েল
গবেষণায়
দেখা গেছে যে, শ্যাম্পুর সাথে ৫% টি ট্রি অয়েল এর ব্যবহার খুশকি দূর করতে খুবই কার্যকর। এজন্য
আপনার নরমাল শ্যাম্পুর সাথে কয়েক ফোটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিয়মিত মাথা শ্যাম্পু করবেন।
বেকিং
সোডা
খুশকি
দূর করার মুল মন্ত্র আপনার কিচেনেই রয়েছে। ভিজা
হাতে বেকিং সোডা নিয়ে মাথার ত্বকে ঘষে ঘষে লাগাতে হবে। এরপর
শ্যাম্পু করবেন না। মাথা
ধুয়ে ফেলবেন। বেকিং
সোডা মাথার ত্বকের ফাঙ্গাসকে বাড়তে দেবে না, তবে আপনার চুল কিছু দিনের জন্য রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তবে,
চিন্তার কিছু নেই। কয়েক
সপ্তাহের ভিতরেই আপনার মাথার ত্বকের প্রাকৃতিক ওয়েল আপনার চুলকে স্বাভাবিক করে তুলবে। কিন্তু,ইতিমধ্যে খুশকি আর থাকবে না।
আপেল
সিডার ভিনেগার
আপেল
সিডার ভিনেগার এর এসিডিটি আপনার মাথার ত্বকের ph লেভেল কে পরিবর্তন করে এটিকে শক্ত করে তোলে। ফলে
ফাঙ্গাস জন্মাতে পারে না। এজন্য
কোয়াটার কাপ আপেল আপেল সিডার ভিনেগার, কোয়াটার কাপ পানির সাথে মিশিয়ে স্প্রে বোতলের সাহায্যে মাথার ত্বকে স্প্রে করে মাথাকে টাওয়েল দিয়ে পেঁচিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা।
এরপর, সাধারণভাবে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে এবং সপ্তাহে ২ বার এই
পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
খুশকিতে
আসলে যখন খুব খারাপ অবস্থা তখন, মাথা শ্যাম্পু করার পর এলকোহল বেইজড মাউথ ওয়াশ দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর
চুলেconditioner ব্যবহার করতে হবে। মাউথ
ওয়াশ এর এনটি ফাঙ্গাল উপাদান ফাঙ্গাস জন্মানোকে রোধ করবে।
নারকেল
তেল
খুশকি
দূর করার জন্য নারকেল তেলের ব্যবহার অপরিহার্য। মাথা
শ্যাম্পু করার আগে নারকেল তেল দিয়ে মাথা ভালভাবে মাসাজ করে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে। এরপর
নরমালি শ্যাম্পু করতে হবে।
লেবু
দুই
টেবিল চামচ লেবুর রস মাথায় মাসাজ করে পানিয়ে দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এরপর
আবার এক চামচ লেবুর রস এক কাপ পানির সাথে মিশিয়ে, পানি দিয়ে মাথা আবার ধুয়ে ফেলতে হবে। এটা
যতদিন খুশকি না যায়, ততদিন নিয়মিত করতে হবে।
রসুন
রসুন
ছেচে হাত দিয়ে মাথার ত্বকে মাসাজ করতে হবে শ্যাম্পু করার আগে। রসুনের
গন্ধ দূর করার জন্য মধু মিশিয়ে নিতে পারেন। রসুন
খুশকির জন্মদায়ক ব্যাকটেরিয়ার জন্ম রোধ করে।
অলিভ
ওয়েল
১০
ফোটা অলিভ ওয়েল মাথার ত্বকে মাসাজ করে শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে সারা রাত মাথা পেঁচিয়ে রাখতে হবে এবং সকাল বেলা শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে।
এই
পন্থাগুলো খুবই সহজ এবং কার্যকরী। এখানে
যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয়েছে, সেগুলোর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও নেই। তাই
আপনি নিশ্চিন্তে এর যেকোনো একটি উপায় অবলম্বন করে দেখবেন। তবে
যেটাই করবেন নিয়মিত করবেন। আপনার
চুল হয়ে উঠবে খুশকিমুক্ত আর ঝলমলে।
Tags:
Beauty & Fitness