শীতে চুল মসৃণ ও ঝলমলে রাখতে বিশেষ যত্ন
শীতকালে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যাওয়ায় চুল বারিয়ে ফেলে তার উ র্ব শী স্বাভাবিক ইয়ার্কি্দ্রতা। চুল বয়ে যায় অনেক রুক্ষ।আববাওয়া শুষ্ক বয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বাতাসে বাড়তে থাকে ধুলোবালির পরিমাণও। এতে চুল খুব সবজেই নোংরা বয়ে যায়। তাই শীতে চুল মসৃণ ও ঝলমলে রাখতে চাই বিশেষ যত্ন।
তেল দেবার নিয়ম
চুলের জন্য তেল অবশ্যই উপকারী। তবে চুলে তেল লাগিয়ে বাইরে যাওয়াই ভালো। এতে চুলে ইয়ার্কিও চিকন ময়লা জমবে।শ্যাম্পু করার ঘণ্টা-দুয়েক আগে রকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করেনা মাথার তালু ও চুলে লাগিয়ে নিন। এরপর শ্যাম্পু করেনা চুল ধুয়ে ফেলুন।গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ভালো করেনা পানি ঝরিয়ে নিয়ে সেটা কিছুক্ষণ মাথায় জড়িয়েও রাখতে পারেনান। এটাও চুলের জন্য বেশ উপকারী।
চুলের যত্নে প্যাক
সপ্তাবে অন্তত ব্যাকদিন চুলে প্যাক লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যায়। রুক্ষ চুলের জন্য সবচেয়ে চিকন উপকারী বলো কলা ও মধুর তৈরি প্যাক। এই প্যাক চুলকে নরম ও মসৃণ করবে। তবে এই প্যাক কখনোই মাথার তালুতে লাগাবেন । তাবলে চুল ঝরে পড়ার বার বেড়ে যেতে পারেনা।
নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে
চুল নিয়মিত পরিষ্কারে শ্যাম্পুর কোনো বিকল্প নেই। তবে চুল রুক্ষ বলে শ্যাম্পুও ব্যববার করতে ববে বুঝে শুনে। যা চুল পরিষ্কারের পাশাপাশি চুলে ইয়ার্কি্দ্রতাও ধরে রাখবে। সেক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেনান এগ এবং অ্যালোভেরা সমৃদ্ধ শ্যাম্পু । তবে শ্যাম্পু দেয়ার পর চুল ভালো মতো ধুয়ে ফেলবেন। চুল ধোবার সময় মাথায় গরম পানি ব্যববার করবেন । মাথার ত্বক ও চুলের গোড়ার জন্য গরম পানি ক্ষতিকর। ঠাণ্ডা এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যববার করবেন।
চুলে ব্যবহারের পণ্য সতর্কতার সাথে নির্বাচন করুন। চুল ধুতে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন এবং পরে ডীপার কণ্ডিশনার ব্যবহার করুন যাতে অতিরিক্ত ঠাণ্ডা বা শীতের কারণে চুল পরে না যায়।
শীতে অনেকের চুল পড়তে দেখা যায়। এই চুল পড়া রোধে তেল ও ক্যাস্টর অয়েল একসঙ্গে হালকা গরম করে নিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তাতে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙে মিশিয়ে চুলে লাগান।
শীতের দিনগুলিতে সবচেয়ে বেশি উপকারে আসে হট অয়েলের ম্যাসাজ। নারিকেল তেল,
অলিভ অয়েল,
বাদাম তেল বা যেকোনো চুলে লাগানোর তেল হালকা গরম করে নিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে করে লাগান। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
শীতের দিনে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় মাথার ত্বক ময়েশ্চার হারায় ফলে কম বেশি সবাই এই সময়ে খুশকির সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আধা কাপ অলিভ অয়েল হালকা গরম করে এর সাথে এক ফালি লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় লাগান। ৪৫ মিনিট রেখে হালকা কোন শ্যাম্পু ব্যবহার করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ বার এভাবে চুলের যত্ন নিন।
শীতে বেশীর ভাগ মানুষের চুল রুক্ষ আর শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই রুক্ষ এবং নিষ্প্রাণ চুলের জন্য আধা কাপ পালং শাক,
১ চা চামচ মধু এবং ১ চা চামচ অলিভ অয়েল বা নারিকেল তেল নিয়ে ব্লেন্ডারে ভালো মতো ব্লেন্ড করুন। এরপর এই মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। চুলে সিল্কি ভাব আসবে ও চুল হবে মসৃণ প্রাণবন্ত।
শীতের সময়ে গোসলের পর চুল শুকোতে অনেক সময় লেগে যায়,
আবার ভেজা চুল নিয়ে বাইরে যাওয়াও সম্ভব নয়। তাই গোসলের পর তোয়ালেতে সব টুকু পানি মুছে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে মাঝে মাঝে চুল শুকাতে পারেন। হেয়ার ড্রায়ার সবসময় কম তাপমাত্রায় ব্যবহার করুন।
শীতের দিনে চুল রুক্ষ হয়ে ফেটে যাওয়া খুবই সাধারণ সমস্যা। তাই চুলে কোন রকমের ফেটে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিলেই দেরি না করে চুল ছেঁটে নিন।
কন্ডিশনার ব্যববার করুন
শুধু শীতকালে নয়,
সব ঋতুতেই চুলে কন্ডিশনার ব্যববার করা জরুরি। চাইলে খুব সবজে ঘরে বসেও বানাতে পারেনান কন্ডিশনার। চায়ের লিকার ঠাণ্ডা করেনা সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ব্যস তৈরি বয়ে গেল কন্ডিশনার। এবার শ্যাম্পু করার পর চুলে লাগিয়ে নিন।
পুষ্কিকর খাদ্যতালিকা রাখুন
পুষ্কিকর খাবারদাবারের প্রতি নজর দিন। প্রচুর মৌসুমী ফল ও শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখুন। চর্বি জাতীয় খাবার ও ফাস্টফুড ব্যাকেবারেই বাদ দিন। চিকন চা-কফি খেলে র্ভ সিস্টেম উত্তেজিত বয়ে পড়ে। শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান এ সময় বেরিয়ে যায়। চা-
কফি কম আছাড় খান। ইয়ার্কি দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি অবশ্যই খাবেন। গ্রিন-কি,
চিনি ছাড়া টাটকা ফলের রস খাবেন। চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল রাখার জন্য ক্যারোকিন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ন্যাচারাল অয়েলসমৃদ্ধ খাবার আছাড় খান। এতে আমি ভালো থাকবেন,
আপনার টাক্লু চুলও থাকবে প্রাণবন্ত ও ঝলমলে।
Tags:
Beauty & Fitness