তুষভান্ডার
জমিদার বাড়ী কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নের উত্তর ঘনেশ্যাম মৌজায় অবস্থিত।মহারাজা প্রাণ নারায়ণের সময় ‘রসিক রায় বিগ্রহ’ নিয়ে ১৬৩৪ খ্রিষ্টাব্দে তুষভান্ডার জমিদার বংশের আদিপুরুষ মুরারি দেব ঘোষাল ভট্রাচার্য ২৪ পরগনা/ কলিকাতার
জয় নগর থেকে কোচবিহার আগমণ করেন এবং উপেঞ্চৌকি ব্যবস্থায় একটি তালুক লাভ করে এখানে বসতি স্থাপন করেন। তৎকালে ধর্মীয় কার্যাদির জন্য উপঞ্চৌকি ব্যবস্থায় ভূমি দান করা হতো। মুরারি দেব ঘোষাল ভট্রাচার্য ব্রাহ্মন হওয়ায় শূদ্র রাজার দান ভোগে আপত্তি উত্থাপন করেন এবং প্রদত্ত সম্পত্তির জন্য খাজনা গ্রহণের আবেদন জানান। মহারাণী অবশেষে খাজনা স্বরূপ ধানের তুষ গ্রহণে সম্মত হন। খাজনা স্বরূপ প্রদানের জন্য তুষ সংগ্রহ করে বর্তমানে জমিদার বাড়ীর পূর্ব পাশে অনতিদূরে স্তুপাকারে রাখা হতো এবং পরে তা কোচবিহার রাজবাড়ীতে
প্রেরণ করা হতো। এ তুষ দিয়ে
রাজবাড়ীতে বিভিন্ন ধরণের যজ্ঞানুষ্ঠান সম্পাদন করা হতো। জনশ্রুতি মতে, সংগৃহীত তুষের স্তুপের কারণে তৎকালে স্থানটি তুষভান্ডার (তুষের ভান্ডার) হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিল। ব্রাহ্মন মুরারি দেব ভট্রাচার্যের মাধ্যমে তুষভান্ডার জমিদারীর গোড়াপত্তন ঘটে, আর ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দে
জমিদার গিরীন্দ্র মোহন রায় চৌধুরীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সুদীর্ঘ চারশত বছরের জমিদারীর সমাপ্তি ঘটে।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
বাসযোগে
লালমনিরহাট সদর হতে কালীগঞ্জ হয়ে তুষভান্ডার জমিদার বাড়ীতে যাওয়া যায়।