Sonadia Island, Maheshkhali সোনাদিয়া দ্বীপ, মহেশখালী
কক্সবাজার
শহর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সোনাদিয়া দ্বীপটি অবস্থিত। মহেশখালীর দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরের কুল ঘেঁষে সোনাদিয়ার অবস্থান। তাই তো সোনাদিয়া দ্বীপকে
নিয়ে দেশে-বিদেশে বর্তমানে এত আলোচনা। সোনাদিয়া
দ্বীপে গভীর সমুদ্র বন্দর বিনির্মাণের জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে যাচ্ছে। চীনসহ বিভিন্ন রাষ্ট্র এ সমুদ্র বন্দর
নির্মাণের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার আগ্রহ দেখিয়ে যাচ্ছে। সোনাদিয়া দ্বীপটি মহেশখালীর কুতুবজোম ইউনিয়নে অবস্থিত। ঘটিভাঙ্গা নামে একটি খাল মহেশখালী দ্বীপের সাথে একসময় সোনাদিয়াকে বিচ্ছিন্ন রাখলেও খালের ওপর সেতু নির্মিত হওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হয়েছে। সদাশয় সরকার মাঝিমাল্লাদের কথা বিবেচনা করে এবং সমুদ্রে নৌ ডাকাতি রোধকল্পে
ঘটিভাঙ্গায় একটি নৌ থানা স্থাপনের
বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। দ্বীপটিকে সরকার প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রাখছে। এ দ্বীপকে যাযাবর
পাখিদের জন্য ভূ-স্বর্গ বলা
যায়। দ্বীপের পশ্চিম দিকে বালুকাময় সমুদ্র সৈকত রয়েছে যেখানে ঝিনুক ও মুক্তা পাওয়া
যায়। শুষ্ক মৌসুমে এখানে প্রচুর মাছ শুকানো হয় যা
দেশে বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করা হয়। জীব
বৈচিত্রের অপূর সমাহার সোনাদিয়া দ্বীপ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট বিদ্যমান থাকার কথা থাকলেও এলাকা প্রভাবশালী ভূমি দস্যুদের কারণে চিংড়ি খামার তৈরীর লক্ষ্যে প্যারাবন ধ্বংসসহ হাজার হাজার রোপিত গাছ কর্তনের কারণে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্মুখীন বলে পরিবেশবাদীরা সর্বদা প্রতিবাদ মুখর থাকে।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
মহেশখালী
উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের একটা ওয়ার্ড হচ্ছে সোনাদিয়া দ্বীপ। জেলা হতে উত্তর পশ্চিমে অবস্থান। কক্সবাজার হতে রিক্সা/টমটম যোগে ৬নং জেটিঘাট। স্পীডবোট হয়ে সোনাদিয়া দ্বীপ। ভাড়া : সাধারণত লোকাল স্পীডবোট যায় না । রিজার্ভ
হলে আনুমানিক ৮০০ টাকা। সময় : যাওয়া আসা মিলে ১ ঘন্টা