চা
একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পানীয়। সকালে এক কাপ গরম
চা না পেলে বাঙালি
সমাজের যেন একদম চলে না। বাংলাদেশের যে কয়টি অঞ্চলে
চা বাগান পরিলক্ষিত হয় তার মধ্যে
সিলেট অন্যতম। সিলেটের চায়ের রঙ, স্বাদ এবং সুবাস অতুলনীয়। সিলেট সদর উপজেলায় রয়েছে বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের বৃহত্তম এবং সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠিত চা বাগান। যার
নাম‘মালনীছড়া চা বাগান।’ ইংরেজ
সাহেব হার্ডসনের হাত ধরে ১৮৫৪ সালে ১৫০০ একর জায়গা জুড়ে প্রতিষ্ঠিত হয় উপমহাদেশের প্রথম চা বাগানমালনীছড়া।বাগানটি বর্তমানে পরিচলিত হচ্ছে বেসরকারি তত্ত্বাবধানে।
ভ্রমনবিলাসীমানুষের কাছে আনন্দ ভ্রমণ কিংবা উচ্ছল সময় কাটানোর প্রথম পছন্দের স্থানহলো মালনীছড়া চা বাগান। সিলেট
শহরের একেবারেই অদূরে হওয়ায় চা বাগানদেখতে পর্যটকরা
প্রথমেই ছুটে যান মালনীছড়ায়। মালনীছড়া চা বাগানেরপ্রবেশদ্বার বেশ কয়েকটি।
আপনি চাইলে যে কোন একটি
পথ দিয়েই চা বাগানদর্শনের কাজ
শুরু করতে পারেন। তবে ঝামেলা এড়াতে বাগানে প্রবেশের আগেকর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়াই বাঞ্চনীয়। তারপর ঘুরে দেখেন বাগানের এপাশ থেকেওপাশ। দেখে আসতে পারেন বাগানের বাংলো। বর্তমানে বেসরকারি তত্ত্বাবধানে চা বাগান পরিচালিত
হয়ে আসছে।চা বাগানের পাশাপাশি বর্তমানে এখানে কমলা ও রাবারের চাষ
করা হয়।মালনীছড়া চা বাগান ছাড়াও
সিলেটে লাক্ষাতুড়া
চা বাগান, আলী বাহার চা বাগান, খাদিম,
আহমদ টি স্টেট, লালাখাল
টি স্টেট উল্লেখযোগ্য।
সিলেট শহরে
থাকার
আবাসিক
হোটেল:
১।হোটেল
মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল (বন্দর, শিশুপার্কের কাছে): ০১৭৩১৫৩৩৭৩৩, +৮৮০৮২১২৮৩৩৪০৪
২।
হোটেল নির্ভানা ইন (রামের দিঘির পাড়, মির্জা জাঙ্গাল, সিলেট): +৮৮০৮২১২৮৩০৫৭৬, ০১৭৩০০৮৩৭৯০, ০১৯১১৭২০২১৩, ০১৭১১৩৩৬৭৬১
৩।
হোটেল স্টার প্যাসিফিক (ইস্ট দরগাহ গেইট): ০১৭১৩৬৭৪০০৯, ০১৯৩৭৭৭৬৬৩৩, ০৮২১-২৮৩৩০৯১
৪।
হোটেল অনুরাগ (ধোপা দীঘি নর্থ): ৭১৫৭১৭, ৭১৪৪৮৯, ০১৭১২০৯৩০৩৯
৫।
সুরমা ভ্যালি গেস্ট হাউস (জেলা প্রশাসক/পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশে): ০১৭১৬০৯৫৮৩৬
৬।
হোটেল উর্মি: হযরত শাহজালাল (র: ) মাজার শরীফ পূর্ব দরগাহ্ হেইট, সিলেট, ফোন: ০৮২১-৭১৪৫৬৩, ০১৭৩৩১৫৩৮০৫
কিভাবে যাওয়া
যায়:
সিলেট
শহর থেকে রিকশাযোগে অথবা অটোরিকশা বা গাড়িতে বিমানবন্দর
রোডে চাবাগানটি পাওয়া যাবে। গাড়িতে যেতে আম্বরখানা পয়েন্ট থেকে ১০ মিনিট এর
পথ।রিকশাযোগে যেতে আধঘন্টা লাগবে। ঢাকা থেকে সিলেট এর উদ্দেশ্যে বাস
ছেড়ে যায় গাবতলী এবং সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে৷বাস গুলো সকাল থেকে রাত ১২.৪৫ পর্যন্ত
নির্দিষ্ট সময় পরপর ছেড়ে যায়৷ঢাকার ফকিরাপুল, সায়দাবাদ ও মহাখালী বাস
স্টেশন থেকে সিলেটের বাসগুলো ছাড়ে। এ পথে গ্রীন
লাইন পরিবহন, সৌদিয়া এস আলম পরিবহন,
শ্যামলি পরিবহন ও এনা পরিবহনের
এসি বাস চলাচল করে। ভাড়া ৮শ’ থেকে ১ হাজার ১শ’
টাকা। এছাড়া শ্যামলী পরিবহন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, ইউনিক সার্ভিস, এনা পরিবহনের পরিবহনের নন এসি বাস
সিলেটে যায়। ভাড়া ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা। এনা পরিবহনের বাসগুলো মহাখালী থেকে ছেড়ে টঙ্গী ঘোড়াশাল হয়ে সিলেট যায়।