Hazrat Shahjalal (R) shrine হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার


নগর সিলেটের মধ্যখানে টিলার উপর চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন হযরত শাহজালাল (রহ:) এর মাজারজেয়ারতের জন্য দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রতিদিনইধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষ সিলেট আসেন। শাহজালাল চরণস্পর্শপাওয়ার কারণেই সিলেটকে অনেকেই পূণ্যভূমি হিসেবে অভিহিত করেন। হযরত শাহজালাল (রহ:)একজন বিখ্যাত দরবেশ পীর। তাঁকে ওলিকুল শিরোমণি আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। সিলেট অঞ্চলে তাঁর মাধ্যমেই ইসলামেরপ্রসার ঘটে। সিলেটের প্রথম মুসলমান শেখ বুরহান উদ্দিনের ওপর রাজা গৌরগোবিন্দের অত্যাচার এবং এর প্রেক্ষিতে হযরত শাহজালাল (:) তাঁর সফরসঙ্গী৩৬০ আউলিয়ার সিলেট আগমন ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।শাহজালাল (.) এর মাজার চত্বরের উত্তরদিকে রয়েছে একটি পুকুর। এই পুকুরেআছে অসংখ্য গজার মাছ। এসব মাছকে পবিত্র জ্ঞান করে দর্শনার্থীরা ছোট ছোট মাছখেতে দেন। গজার মাছের পুকুরে ভেসে বেড়ানো আগতদের আনন্দ দেয়।

হযরতশাহজালাল (:) এর আধ্যাত্মিক শক্তির পরিচয় পেয়ে হযরত নিজামুদ্দিনআউলিয়া (:) তাঁকে সাদরে গ্রহণ করেন। প্রীতির নিদর্শনস্বরূপ তিনি তাঁকেএকজোড়া সুরমা রঙের কবুতর বা জালালী কবুতর উপহার দেন। সিলেট এর আশপাশেরঅঞ্চলে বর্তমানে যে সুরমা রঙের কবুতর দেখা যায় তা ওই কপোত যুগলের বংশধরএবং জালালী কবুতর নামে খ্যাত। শাহজালালের মাজার এলাকায় প্রতিদিন ঝাঁকেঝাঁকে কবুতর উড়তে দেখা যায়। সিলেটের জনমানসে এই কবুতর নিয়ে অনেকজনশ্রুতি আছে।

শাহজালাল এর মাজারের পাশেই রয়েছে একটি কূপ। এই কূপেসোনা রুপার রঙের মাছের অবস্থান প্রত্যক্ষ করা যায়। চারপাশ পাকা এই কূপেদিনরাত পানি প্রবাহিত হয়। মাজারের পশ্চিম দিকে গেলে ঝরনা দেখতে পাওয়াযায়। ঝরনার পানি বোতল ভর্তি করে বিক্রি করা হয়।
মাজারের পূর্ব দিকেএকতলা ঘরের ভেতরে বড় তিনটি ডেকচি রয়েছে। এগুলো ঢাকার মীর মুরাদ দানকরেছেন। ডেকচিগুলোতে রান্না বান্না হয় না। পূণ্যের উদ্দেশ্যে প্রতিদিনদর্শনার্থীরা ডেকচিগুলোতে প্রচুর টাকা পয়সা দান করেন।মাজারের দক্ষিণদিকে গ্রীলঘেরা তারকা খচিত ছোট্ট ঘরটি শাহজালালের চিল্লাখানা। স্থানটিমাত্র দুফুট চওড়া। কথিত আছে- হযরত শাহজালাল এই চিল্লাখানায় জীবনের   ২৩বছর আরাধনায় কাটিয়েছেন।
দরগার পাশ্ববর্তী মুফতি নাজিমুদ্দিন আহমদেরবাড়িতে হযরত শাহজালালের তলোয়ার খড়ম সংরক্ষিত আছে। প্লেট বাটিসংরক্ষিত আছে দরগাহ মোতওয়াল্লির বাড়িতে।

কিভাবে যাওয়া যায়:
সিলেট রেল স্টেশন অথবা কদমতলী বাস স্ট্যান্ড নেমে রিকশা বা সিএনজি অটোরিকশাযোগে মাজারে যাওয়া যায়। রিকশা ভাড়া ২০-২৫ টাকা, সিএনজি ভাড়া ৮০-১০০ টাকা।সুরমা নদী পার হয়ে মূল শহরে এসে মাজার পৌছাতে হয়। পর্যটকরা রিক্সা অথবা সিএনজি যোগে যেতে পারেন। ভাড়া ৩০-৫০/- টাকা

Post a Comment

Previous Post Next Post