মাগুরা
সদর উপজেলার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম
প্রান্ত বেয়ে ফটকী নদীর উত্তর তীরবর্তী এক পল্লীগ্রাম টিলা।
নামের সাথে গ্রামের ভূ-প্রকৃতির মিল
খুঁজে পাওয়া যায়। স্থানীয়ভাবে পূণ্যস্থান হিসেবে আদৃত ‘ভাতের ভিটা’ মাগুরা জেলা শহর হতে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণের
এই টিলা গ্রামে অবস্থিত। ‘ভাতের ভিটা’ স্থানটি দেখতে টিলার মত। কিংবদন্তী এই যে- কোন
এক অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী দরবেশ নিশিকালে এপথে ভ্রমণের সময় এখানে এসে মসজিদ নির্মাণ শুরু করেন। নির্মাণ কাজে নিয়োজিতদের জন্য ভাতরাধা যখন শেষ নির্মাণ কাজ তখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যে ভোরের
নকীব পাখ-পাখালীর কূঞ্জনে মুখরিত হয়ে ওঠে রাতের নিস্তব্ধতা। নির্মাণ কাজ অসমাপ্ত রেখে দরবেশ চলে যান। পথিমধ্যে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারিতে যেয়ে রাত শেষ হয়নি দেখে সেখানে মসজিদ নির্মাণ শুরু করে ফজরের নামাজ আদায় করেন। রাত শেষে লোকজন দেখতে পায় অসমাপ্ত মসজিদ, রান্না করা ভাত আর ভাতের ফ্যান
গড়িয়ে পাশে পুকুরের মত তৈরী হয়েছে।
সেই থেকে উঁচু টিলার নাম হয় ভাতের ভিটা।
যেখানে ফ্যান গড়িয়ে পুকুরের মত হয়েছে তার
নাম দেয়া হয় ফ্যানঘালী।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
মাগুরা
জেলা শহর হতে প্রায় ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে
মঘি ইউনিয়নে ফটকী নদীর তীরে টিলা গ্রাম অবস্থিত। যশোর-মাগুরা সড়কে বাস ও ভ্যানযোগ যাতায়াত
করা যায়।