শীর্ণকায়
নদীর। ভাটিয়াপাড়া থেকে এই নদীর পূর্ব
পাড় দিয়ে এক কিলোমিটার উত্তরে
ছোট কাচা রাস্তা পূর্ব দিকে চলে গেছে। শেষ
হয়েছে
কাশিযানী পুরানো রেল স্টেশনে। জানা যায় জমিদার গিরীশ চন্দ্র সেনের পদরেনুতে ধন্য ছিল এই কাচা রাস্তাটি।
পূর্ব-পশ্চিমমুখী রাস্তাটির নদীর পাড় থেকে পূর্ব দিকে সামান্য এগুলেই চোখে পড়বে ডানপাশে বিশালাকৃতির পুকুর আর বামপাশে জমিদার
গিরীশ চন্দ্র সেনের বাড়ি। ইংরেজী U-প্যাটার্ণের দক্ষিনমুখী বাড়িটি তৎকালে সবার নজর কাড়ত। নয়নাভিরাম এই বাড়িটির মধ্যঅংশ
ছিল দ্বিতল বিশিষ্ট এবং তারই লাগোয়া দুপাশে ছিল একতলা বিশিষ্ট ভবন। সাদা রঙের জমিদারি ভবনটি মোটামুটি সুরক্ষিত ছিলবলা যায়। প্রাচীর বেষ্টিত বাড়ির পিছনে তিনদিক থেকে ছিল বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ।
বাড়িটির
বামপাশে ছিল একতলা ভবন বিশিষ্ট মন্দির এবং ডান পাশে ছনের ছাউনি দিয়ে কাচাড়ী।দৃষ্টিনন্দন বলতে যা বোঝায় তার
কোন অংশেরই কমতি ছিল না এই বাড়িটিতে।
জমিদার বাড়ির বিশালাকার পুকুরটি ছিল সুশোভিত। শান
বাঁধান
পুকুরটি নিঃস্বার্থভাবে সেবা দিয়েছে জমিদার বাড়িকে, এলাকার জনগণকে।এখন আর সেই কাচা
রাস্তাও নেই, নেই সেই জমিদার বাড়িও। পরিচিতি গেছে পাল্টে। এখন শুধু এটুকুই পরিচয় কাশিয়ানী এম.এ খালেক
সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বস্থ কাশিয়ানী এম.এ খালেক
ডিগ্রী কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষের বাড়িটিই তখনকার জমিদার গিরীশ চন্দ্র সেনের বাড়ির ভিটা।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
ভাটিয়াপাড়া
থেকে এক কিলোমিটার উত্তরে
ছোট কাচা রাস্তা পূর্ব দিকে জমিদার গিরীশ চন্দ্র সেনের বাড়ী