সদ্যপুষ্করিণী দিঘী


প্রায়  ৬শ  বছর পূর্বে  এখতিয়ার  উদ্দীন মোহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী শাসনামলে সৈন্য বাহিনী এই এলাকার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের  পানির সমস্যা দেখা দেয়। সময়  কয়েক লক্ষাধিক সেনাসদস্য এখানে তাবু খাটিয়ে   অবস্থান গ্রহণ করেন। পরে তারা পানির সমস্যা সমাধানের জন্য এক রাতেই এখানে একটি পুকুর খনন করেন। তখন থেকে ওই পুকুরের নাম সদ্যপুস্করিণী হিসাবে প্রসিদ্ধ। পূর্ব পুরুষদের বর্ণনা মতে- বিপুল সংখ্যক সৈন্যের পানির প্রয়োজন পড়লে পানি সরবরাহ কঠিন হয়ে পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে সেনাপতি সিদ্ধান্ত নেন একটি পুকুর খননের। যেই কথা- সেই কাজ। সৈন্যরা লেগে পড়েন পুকুর খননে। আর এভাবেই এই বিশাল পুকুরের সৃষ্টি। কথিত আছে তড়িঘড়ি করে এক রাতে খোড়া হয়েছে বলে এর নামকরণ করা হয়েছেসদ্যপুষ্করিণী এবং পরবর্তীতে পুকুড়ের নাম অনুসারে ইউনিয়নের নাম করন করা হয় সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়ন।  বিশাল পুকুরের স্বচ্ছ জল এবং গাছগাছালি ঘেরা পুকুরপাড়ের শীতল বাতাস সহজেই শরীর জুড়িয়ে দেয়। এই পুকুরের নামে ইউনিয়ন পরিষদেরও নামকরণ করা হয়েছে সদ্যপুষ্করিণী ইউনিয়ন। রংপুরের বাসিন্দা যারা পেশাগত কারণে বাইরে থাকেন, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসে তারা সহজেই ঘুরে আসতে পারেন ইতিহাসের সাক্ষী সদ্যপুষ্করিণী থেকে। এছাড়া রংপুরে বাইরে থেকেও আসতে পারেন পুষ্করিণীর পাড়ে।

কিভাবে যাওয়া যায়:
রংপুর মহানগরী থেকে কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিম কোনে ৪নং সদ্যপুষ্করিণী ইউনিয়ন। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রায় কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ কোনে সদ্যপুষ্করিণী দিঘী।

Post a Comment

Previous Post Next Post