ব্রিটিশ আমলে ইংরেজরা আমাদের দেশে
ঘোড়দৌড় বা রেস খেলার প্রচলন করে। খেলা দেখা ও বাজি ধরায় প্রচন্ড উত্তেজানা
সৃষ্টি হত। শহরাঞ্চলেই ঘোড়দৌড় মাঠ বা রেসকোর্স ছিল। রেসের নেশায়
দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতেন। অনেকে এ খেলায় সর্বস্বান্ত হয়েছে।
কার্যত আয়োজকরাই লাভবান হয়েছে। রাজশাহী শহরের রেসকোর্স ছিল পদ্মার পাড়ে।
এখন এই রেসকোর্স ময়দান রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। রাজশাহী
কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার এক পুরনো তথ্য বিবরণী থেকে জানা যায়, রেসের
পর এখানে টমটম বা ঘোড়াগাড়ী দৌড়ও হতো। রেস ও টমটম বন্ধ হওয়ার পর রাজশাহীর
রেসকোস ময়দান দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল। উদ্যান প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন মন্ত্রী
শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও জেলা প্রশাসক আহম্মদ আব্দুর রউফ এর প্রচুর
ভূমিকা ছিল। তাদের প্রচেষ্টায় ১৯৭২ সালে রাজস্ব বিভাগ হতে অনুমতি প্রাপ্ত
৩২.৭৬ একর এই জমিতেই কেন্দ্রীয় উদ্যান স্থাপিত হয় ও ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫শ
টাকার ১টি প্রকল্প তৈরী করে টেস্ট রিলিফের টাকায় লেক খনন, সাইট উন্নয়ন ও
কিছু বৃক্ষরোপণের ব্যবস্থাকরা হয়। মূল্যবান গাছের চারা রোপণ, ফুল গাছের
কোয়ারি ও কুঞ্জ তৈরি, লেক ও পুকুর খনন, কৃত্রিম পাহাড় তৈরি অর্থাৎ সামগ্রিক
কাজ শুরু হয় ১৯৭৪-৭৫ ও ১৯৭৫-৭৬ সালে। প্রকৃত পক্ষে ১৬/২/১৯৮৩ তারিখে
চিড়িয়াখানার কার্যক্রম শুরু করাহয়।
কিভাবে যাওয়া যায়:
জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিমদিকে আনুমানিক ৩ কি.মি. কোর্ট এর দিকে, প্রধান রাস্তার উত্তর পার্শ্বে, রিক্সা, অটোতে যাওয়াযায়।