গাছটি
দুশো বছরের পুরনো। রাস্তার ধারে
ডাল-পাতায় পরিপূর্ণ গাছটি জনবিরল স্থানে পথিকের বিশ্রামের আশ্রয়স্থল। বটগাছটি একের পর
এক ঝুরি নামিয়ে বিরাট আকার ধারণ করেছে। এ স্থানটির মালিক
ছিলেন রায় গ্রামের জোতদার নগেন সেনের স্ত্রী শৈলবালা সেন। পরবর্তীতে এটা খাস হয়ে যায়। পূর্বে তিথি অনুযায়ী এখানে পাঠা বলি হতো। এ গাছের নিচে
একটি স্থায়ী কালীপূজার আসন স্থাপিত হয়েছে। এখনও মানুষ এখানে মানত করে। বিশ্বব্যাপী গাছটির পরিচিতি ঘটে ১৯৮২ সালে বি,বি,সির সংবাদ ভাষ্যের
মাধ্যমে গাছটি এ এলাকার আন্তর্জাতিক
খ্যাতি এনে দিয়েছে। বহু দেশী-বিদেশী পর্যটক এখানে আসে। তবে বটগাছটির প্রতি নেই কোন সচেতন পরিচর্যা। অযত্ন, অবহেলা ও অত্যাচারে বিলীন
হতে চলেছে গাছটি। প্রতিনিয়ত কাটা হচ্ছে এর
ডালপালা।
বট
গাছটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করেও পর্যটকদের সুবিধার্থে এখানে ১৯৯০ সালে সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে একটি রেষ্ট হাউজ। এই ঐতিহ্যকে গুরুত্বসহকারে
কাজে লাগালে এ অঞ্চল হতে
পারে পর্যটন কেন্দ্র। এই বিস্তৃত বটগাছের
দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাখীর কল-কাকলি মুখরিত
শীতল পরিবেশ বিমুগ্ধ চিত্তকে বিস্ময় ও আনন্দে অভিভূত
করে।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
ঝিনাইদহ
থেকে বাস অথবা সিএনজি দ্বারা এই প্রাচীন বটগাছটি
দেখতে যাওয়া যায় ( ঝিনাইদহ জেলা সদর হতে ২৫ কি.মি)