হযরত
খানজাহান (রঃ) এর মাজারের দক্ষিণ
দিকে আয়তনে প্রায় ২০০ বিঘা জমি জুড়ে এ দীঘি অবস্থিত।
এই দীঘির নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন কিংবদমিত্ম প্রচলিত আছে। কেউ কেউ বলেন বুদ্ধ ঠাকুরের মুর্তি প্রাপ্তির জন্য এর নাম হয়
“ ঠাকুর দীঘি”। অন্য মতে
খানজাহানকে দেশীয় হিন্দুগণ ভক্তিভরে “ ঠাকুর ” বলতো এবং তাঁরই বিশেষ তত্ত্বাবধানে এ দীঘি খনন
করা হয় বলে তাদের
ভক্তিভাজন ঠাকুরের নামানুসারে ঠাকুর দীঘি বলা হতো। আবার কেউ কেউ বলেন পীর আলী মোহাম্মদ তাহের খাজাহানের প্রিয়তম বন্ধু ছিলেন। তিনি পূর্বে ব্রাক্ষ্মণ ছিলেন এবং তাঁর নাম ছিল শ্রী গোবিন্দ লাল রায়। খানজাহান তাঁকে আদর করে “ ঠাকুর ” বলে সম্বোধন করতেন। তাঁরই স্মৃতি রক্ষার্থে তিনি এ দীঘির নাম
“ঠাকুর দীঘি”রেখেছিলেন। তাঁর মাজার খানজাহান (রঃ) মাজার সংলগ্ন পশ্চিমে অবস্থিত ।
দীঘির
প্রধান ঘাটটি প্রশসত্ম ও সুন্দর। মহিলাদের
জন্য আলাদা ঘাট আছে। এ দীঘিতে কালা
পাহাড় ও ধলা পাহাড়
নামক কুমিরের বংশধররা আজও জীবিত এবং ডাকলে আসে। এ দীঘির পানি
সুপেয় । অনেকে রোগপীড়া
থেকে নিরাময়ের জন্য এ দীঘির পানি
পান করেন এবং দীঘিতে গোসল করে।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
বাগেরহাট
জেলা থেকে অটোযোগে খাঞ্জেলী দীঘিতে যাওয়া যায়