পুরাতন
বাগেরহাট-রূপসা সড়কে অবস্থিত যাত্রাপুর বাজার হতে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে
প্রাচীন ভৈরব নদীর পূর্ব তীরে কোদলা গ্রামে অযোধ্যা মঠ অবস্থিত। তলদেশে
বর্গাকারে নির্মিত এ মঠের প্রত্যেক
বাহু বাহিরের দিকে ২৭র্-৮র্র্র্ দীর্ঘ। ভিতরের প্রকোষ্ঠের মাপ ১০র্-৫র্র্র্ X১০র্-৫র্র্র্ । ইটের তৈরী
প্রাচীর গুলি ৮ ফুট ৭½
ইঞ্চি প্রশসত্ম। মঠে ব্যবহৃত ইটগুলির আয়তন ৬ ইঞ্চি X ৩
ইঞ্চি X ২ ইঞ্চি। পালিশ
করা লাল ইটগুলি অতি উচ্চমানের। মঠটির উচ্চতা ভূমি হতে প্রায় ৬৪ ফুট ৬
ইঞ্চি। এ মঠের বিশেষ
আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে এর বাইরের অলঙ্করণ।
উড়িষ্যা অঞ্চলে খ্রীষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দী পর্যমত্ম যে স্টাইলে মন্দির
নির্মাণ পদ্ধতি দেখা যায়। তার প্রভাব এ মঠে আছে
বলে ধারণা করা হয়।
এই
ক্ষয়প্রাপ্ত পংক্তিমালার যতদূর পাঠোদ্ধার করা যায় তা থেকে অনুমিত
হয় যে, তারকের (ব্রক্ষ্ম) প্রাসাদ লাভের উদ্দেশ্যে এ মঠ খুব
সম্ভবত একজন ব্রাক্ষ্মণ (শর্মনা) কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। এর পাশাপাশি জনশ্রুতি
আছে যে, কারো চিতাভস্মের উপর এ মঠ নির্মিত
হয়েছিল। প্রবাদ রাজা প্রতাপাদিত্য কর্তৃক তাঁর সভাপন্ডিত ‘‘অবিলম্ব সরস্বতীর’’ স্মৃতিস্তম্ভ রূপে মঠটি নির্মিত হয়। পোড়ামাটির অলংকরণে নির্মিত মধ্যযুগীয় এ মন্দিরটি স্থাপত্য
শিল্পের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
বাগেরহাট
জেলা বাস স্ট্যান্ড থেকে ইজিবাইক/ইঞ্জিনচালিত রিক্সা যোগে অযোধ্যা মঠ/কোদলা মঠ
যাওয়া যায়
আপনি
আরও পড়তে পারেন : Bagerhat Museum বাগেরহাট জাদুঘর