১৯৭১
এর মুক্তিযুদ্ধে শৈলকুপা ইতিহাস হয়ে আছে। ৫ এপ্রিল গাড়াগঞ্জ
যুদ্ধ, ৪ আগষ্ট আলফাপুরের
যুদ্ধ, ১৩ অক্টোবর আবাইপুরের
যুদ্ধ, ২৬ নভেম্বর কামান্নার
যুদ্ধ এবং ৮ এপ্রিল, ৬
আগষ্ট, ১৭ আগষ্ট ও
১১ নভেম্বর শৈলকুপা থানা আক্রমণের মাঝ দিয়েই শৈলকুপা শত্রম্নমুক্ত হয়। মুক্তিসেনারা উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজ পতাকা। শৈলকুপায় পাক হানাদার ও তাদের সহযোগীরা
চালিয়েছে নির্বিচারে হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট। যার জলমত্ম সাÿী হয়ে
রয়েছে কামান্না ও আবাইপুরের হত্যাযজ্ঞসহ
আরো বেশ কিছু নারকীয় ঘটনা। কামান্না যুদ্ধ এসবের সর্বাধিক গরম্নত্ববাহী।
১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর ভোর
রাতে কামান্না গ্রামে পাক হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞে নিহত হন ২৭ জন
বীর মুক্তিসেনা। আরও আহত হন অর্ধ শতাধিক গ্রামবাসী।
নিহত মুক্তিযোদ্ধাদের সবগুলো লাশ জড়ো করা হয় এক জায়গায়।
কামান্না হাই স্কুলের খেলার মাঠের উত্তর পাশে কুমার নদ ঘেষে ৬
জন করে দুটি ও ৫জন করে
তিনটি গণকবরে এ ২৭ জন
বীর শহীদদের কবর ঘেষে নির্মিত হয়েছে একটি শহীদ মিনার, যার গায়ে লেখা আছে ২৭ শহীদের নাম:
মোমিন, কাদের, শহীদুল, সলেমান, রাজ্জাক, ওয়াহেদ, রিয়াদ, আলমগীর, মতলেব, আলী হোসেন, শরীফুল, আলীমুজ্জামান, আনিছুর, তাজুল, মনিরম্নজ্জামান, মমিন, রাজ্জাক, কওছর, ছলেমান, আজিজ, আকবর, সেলিম, হোসেন, রাশেদ, গোলজার, অধীর ও গৌর।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
ঝিনাইদহ
জেলা সদর হতে সড়ক পথে বাস অথবা সিএনজি যোগে যেতে হয়(ঝিনাইদহ থেকে
দুরত্ব ৪২ কি.মি)।