তুলা
গবেষনা, প্রশিক্ষণ ও বীজ বর্ধন
খামার জগদীশপুর- চৌগাছা তথা বৃহত্তর যশোর জেলার অন্যতম গৌরবজ্জল প্রতিষ্ঠান। এটি ১৯৮০ সালে জগদীশপুরের স্বনামধন্য কৃতি সমত্মান জনাব এম মনির-উজ-জামান (সাবেক সচিব) এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত
হয়। ভিত্তি প্রসত্মর স্থাপন করেন তদানীমত্মন মহামান্য রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)। খামারটি বাংলাদেশ
সরকার এবং ই, ই, সি
(ইইউ) এর আর্থিক সহায়কায়
প্রতিষ্ঠিত হয়।
খামার
প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যঃ- বাংলাদেশের আবাদকৃত তুলা উৎপাদিত জমির প্রায় তিন চর্থুতাংশাই বৃহত্তর যশোর ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার
অমত্মর্গত। অত্র এলাকায় আবহাওয়া উপযোগী তুলার উচ্চ ফলনশীল জাত, উদ্ভাবন, তুলা খামারের কৃষি তাত্ত্বিক পোকামাকড় দমন। রোগ বালাই নিয়ন্ত্রণ ও প্রযুক্তিগত উৎকর্ষ
সাধনের জন্য লাগসই গবেষনা কার্যক্রম পরিচালনা এবং তুলা চাষীদের চাহিদা মোতাবেক উন্নত মানের তুলা বীজ সরবরাহ নিশ্চিত করণসহ তুলাচাষী ও মাঠ পর্যায়ের
কর্মকর্তা কর্মচারীদেরকে তুলা চাষে দক্ষ করে গড়ে তোলাই অত্র খামার প্রতিষ্ঠার মূল লক্ষ্য।
প্রশিক্ষণঃ-
প্রশিক্ষণ কাজের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অতীব জরুরী। তাই মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেবার জন্য ডরমেটরীর ব্যবস্থা আছে। যেখানে ১২০ জনের থাকা খাওয়া ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা
করা যায়। ৪ দিন করে
বছরে দুইবার বৃহত্তর যশোর, ঝিনাইদাহ, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া থেকে
আগত কৃষকদেরতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তুলা উন্নয়ন বোর্ডের জোনাল কার্যালয় থেকে লোন এর ব্যবস্থা করা
হয়। এছাড়া ষ্টাফ ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা
হয়।
প্রায়
তিন দশক ধরে জগদীশপুর তুলার খামার আপনার বেগে আপনি ধাববান। প্রচন্ড গতির উত্থিত চিত্র দেখতে পাওয়া যায় না। এ সম্পর্কে বর্তমান
কর্মরত একমাত্র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এম এম আবেদ
আলী বলেন ‘‘বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (ব্রিডিং) কমপক্ষে ৫ টি ডিসিপ্লিন
এর গবেষনামূলক কাজ পরিচালনার জন্য ২০/২৫ জন
বিজ্ঞানীর সুযোগ আছে। কিন্তু সেই স্থানে ৫ টা ডিসিপ্লিন
এর উপর মাত্র ১ জন বিজ্ঞানী
আছেন। বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আরো বলেন ‘‘প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের জনবল খুব অল্প অন্যান্য গবেষনা প্রতিষ্ঠানের মত (বারীবিরি বিনা-) এর মতো জনবল
হলে মোটামুটি জনবল নিয়োগ করে কাজ করার সুযোগ দিলে খামারটি আরো সম্প্রসারিত হবে ও কাজের গতি
বাড়বে ও গবেষনার উৎকর্ষ
সাধিত হবে।
তুলা
গবেষনায় বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাদের নব উদ্ভাবনঃ- ‘‘তুলা
গবেষনা জগদীশপুর খামার থেকে তুলার উন্নত জাত সি,বি-৫
উদ্ভাবিত হয়েছে। যা উচ্চজ ফলশীল
জাত, যার আশের শতকরা হার বেশী, তুলনামূলকভাবে পোকার আক্রমণ কম। অত্র গবেষণা কেন্দ্র থেকে বিজ্ঞানী ও মাঠ কর্মীদের
অক্লামত্ম পরিশ্রমের ফলে একটি হাইব্রীড তুলার জাত চুড়ামত্ম পর্যায়ে আছে। আর একাধিক জাত
প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া তুল ফসলের সারের প্রয়োগমাত্রা উদ্ভাবিত হয়েছে। চাষীদের চাহিদা মোতাবেক তুলার উন্নত জাত উদ্ভাবন সহ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের
জন্য জরুরী ভিত্তিতে ডিসিপ্লিন ও ওয়ারী গবেষক
নিয়োগ অত্যাবশ্যক। মাঠ ও অফিস ব্যবস্থাপনার
জন্য জনবল ঘাটতি রয়েছে এজন্য জনবল নিয়োগ করা একামত্ম প্রয়োজন। তবেই হাইব্রীড জাত তুলা উৎপাদনের যে চেষ্টা চালানো
হচ্ছে তা ভবিষ্যতে সম্ভবপর
হবে। খামারের সীমানা প্রাচীর না থাকায় খামারটি
অরক্ষিত অবস্থায় আছে। গবাদী পশু অবাধে প্রবেশ করায় খামারটির ক্ষতি সাধিত হচ্ছে।
কিভাবে
যাওয়া যায়:
উপজেলা
সদর থেকে ভ্যান, রিক্সায় বা ইজিবাইকে যাওয়া
যায়। উপজেলা থেকে দূরত্ব ১০ কিমি।