১৯৭১ সালে পুরো
খুলনা বিভাগ জুড়েই পাকবাহিনী নারকীয় হত্যাকান্ড, ধর্ষণ, নির্যাতন এর মতো জঘন্য অপরাধ করেছে। নড়াইল জেলার নদীগুলোতে গণহত্যার পর লাশ
ভাসিয়ে দেওয়া হত, পাড়েও ফেলে রাখা
হত অসংখ্য লাশ। এই বধ্যভূমি পাকবাহিনী ও তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগী আলবদর-রাজাকারদের
সৃষ্ট। নড়াইল জেলা জজ আদালতের ২৫ গজ দূরে ডাক অফিসের দ্বিতল বাড়ির পেছনে রয়েছে এই
বধ্যভূমি। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসে অসংখ্য নারী-পুরুষকে ধরে এনে এই ক্যাম্পে
নির্যাতন চালায় পাকবাহিনী । নির্যাতন-ধর্ষণের পর ক্যাম্পের পেছনে দেয়াল ঘেরা
জঙ্গলে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে রাখা হত তাদের, কারো কারো পেট
ফেঁড়ে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হত। শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই সৌধ।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
ঢাকা থেকে সড়ক
পথে আরিচা ফেরী পার হয়ে কালনা ফেরি ঘাট হয়ে নড়াইল সদর, ঢাকা থেকে সড়ক পথে দুরত্ব ৩১০ কিঃমিঃ সময়-৫/৬
ঘন্টা।