আনুমানিক
২০০ বছর আগে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার তাঁতিবন্দ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত
হিন্দু পরিবারে জন্ম হয় জমিদার বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর। তাঁর বাবার নাম গুরু
গোবন্দি চৌধুরী। তৎকালীন নাটোর কালেক্টরেটের সেরেস্তাদার উপেন্দ্র নারায়ন
চৌধুরী তাঁতিবন্দ জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেও তদ্বংশীয় খ্যাতিমান পুরুষ
বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর শাসনামলেই তাঁতিবন্দসহ আশপাশের এলাকায় তাদের
জমিদারিত্বের প্রভাব প্রতিপত্তি ছড়িয়ে পরে। তার জমিদারী আমলে প্রজাগনের
বিনোদনের জন্য জাকজমকপূর্ন পূজা পার্বনের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি হস্তী
নাচের ব্যবস্থা করা হতো। এ জন্য তিনি একাধিক হাতি পালন করতেন। তবে ব্যয়
বহুল হাতি পালনের জন্য প্রজা বর্গের নিকট হতে হস্তি পোষনার্থী হাতি খরচ
নামে বাজে জমা আদায় করা হতো। তিনি তার জমিদারিত্বের কার্যকালে শতাধিক বিঘা
জমির উপর জমিদার বাড়ী নির্মান করেছিলেন। বিশাল মনোমুগ্ধকর এ বাড়ীর এক
তৃতীয়াংশ জুড়ে নির্মান করা হয়েছিল অত্যাধুনিক ডিজাইনের একাধিক অট্টালিকা,
পূজা মন্দির, দিঘী এবঙ দুটি সুউচ্চ দর্শনীয় মঠ। জমিদার বিজয় গোবিন্দ
চৌধুরীর বিভিন্ন ঐতিহাসিক কৃতির মধ্যে মঠ দুটিই ছিল স্মৃতিচারীত করার মত।
পাবনা জেলার প্রতিটি মানুষের কাছে মঠ দুটি ছিল বিজয় বাববুর মঠ নামে পরিচিত।
অত্যন্ত কারুকার্য খচিত ব্যয়বহুল এই মঠ দুটি দেখতে ঐ সময় বিভিন্ন জেলার
লোক বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর জমিদার বাড়ীতে আসতেন। যুগের বিবর্তনে এবং সময়ের
পালাক্রমে স্বর্গীয় জমিদার বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর সকল স্থাপনা ধ্বংস হতে
চললেও আজো পাবনা এবং সুজানগর বাসীর মনে প্রানে চির স্মরনীয় হয়ে আছে বিজয়
গোবিন্দ চৌধুরীর কর্মযগ্যের ইতিহাস।
কিভাবে যাওয়া যায়:
পাবনা হতে ১৯ কি.মি. দুরে সিএনজি/নিজ পরিবহন যোগে সুজানগর
যাওয়া যায়। সুজানগর উপজেলা থেকে সি.এন.জি/ভ্যান যোগে উত্তর দিকে প্রায় ৫
কি.মি. দুরে তাঁতিবন্দ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন জমিদার বাড়ী যাওয়া যায়।