যশোরের
অর্থনীতির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেনাপোল স্থলবন্দর যা শার্শা উপজেলার
সীমান্তবর্তী গ্রাম বেনাপোলে অবস্থিত। ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের সিংহভাগ এর মাধ্যমে সংঘটিত
হয়। সরকারি আমদানী শুল্ক আহরণে বেনাপোল স্থল বন্দরটির ভূমিকা তাৎপর্যপূর্ণ। এখানকার মানুষের জীবিকার অন্যতম সূত্র বেনাপোল স্থল বন্দরের কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এজেন্টের কাজ।বেনাপোল মূলত বাংলাদেশ
ও ভারতের সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম যেখানে একটি সীমান্ত তল্লাশী ঘাঁটি ও আন্তর্জাতিক স্থল
বন্দর অবস্থিত। এই স্থল বন্দরের
শুল্ক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে বেনাপোল কাস্টমস হাউজ। স্থল বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা করে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ। বেনাপোল রেলস্টেশানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ-ভারত রেল চলাচল অনুষ্ঠিত হয়।
বেনাপোলের
বিপরীতে ভারতের দিকের অংশটি পেট্রাপোল নামে পরিচিত। এটি পশ্চিম বাংলার বনগাও মহুকুমার অন্তর্ভুক্ত।
বাংলাদেশ
ও ভারতের মধ্যকার স্থল বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র হিসাবে বেনাপোল স্থল বন্দর ব্যবহৃত হয়। বেনাপোল হতে কলকাতা মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে
অবস্থিত। মোট স্থলবাণিজ্যের ৯০% এই বেনাপোলের মাধ্যমে
সংঘটিত হয়ে থাকে।বাংলাদেশ থেকে স্থল পথে ভারত গমনের প্রধান পথ যশোর-বেনাপোল-বনগাঁ-কোলকাতা গ্র্যান্ড ট্রাঙ্ক রোড। এই পথে প্রতিদিন
শত শত ভ্রমণকারী চলাচল
করে থাকে।
কিভাবে
যাওয়া যায়:
যশোর
থেকে গাড়ী, বাস অথবা অটোতে করে শার্সা উপজেলায় যেতে হয়।শার্শায় বেনাপোল বন্দর অবস্থিত।