দেশের
বৃহত্তম বিল-চলনবিলের মধ্যাস্থলে গুরম্নদাসপুর উপজেলার নাটোর জেলার খুবজীপুর গ্রামে এই জাদুঘরটির অবস্থান।
জ্ঞানপিপাসু অধ্যক্ষ আব্দুল হামিদ ১৯৭৮সালের ১লা সেপ্টম্বর এটি প্রতিষ্ঠা করেন । জাদুঘরটি উপজেলা
সদর থেকে আনুমানিক ৫ কিলোমিটার দুরে
অবস্থিত।
চলনবিল
অঞ্চলের প্রাচীন কীর্তি সম্পকে গবেষনা করে লুপ্ত ইতিহাস উদ্ধার, প্রাচীন ঐতিহাসিক ও কৃষ্টিগত নিদর্শন,
প্রত্নরাজা, শিলালিপি ,টেরা কোটা ও বিভিন্ন দর্শনীয়
বস্ত্ত, মাছ, ঝিনুক, শামুক ইত্যাদি নমুনা সংরক্ষন সহ অতীত ও
ভবিষ্যতের মধ্যে সেতু বন্ধন রচনার অভিপ্রায়ে এই জাদুঘর প্রতিষ্টিত।
১৯৮১
সালে সরকারী ভাবে এ জাদুঘরের জন্য
পাঁচকাঠা জমি দেয়াহয়। ৮৪-৮৫ সালে
নরওয়ের দাতা সংস্থা নোরীড ও ৮৫-৮৬
সালে শিক্ষাা মন্ত্রনালয়ের অর্থ সাহায্যে গড়ে তোলা হয় জাদুঘর ভবন।
১৯৯০ সালে ১৫ মার্চ সরকারের
প্রত্নতত্ব ও জাদুঘর অধিদপ্তরের
অধীনে রেজিষ্ট্রি হবার পূর্বে এটি বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় ( স্থানীয় ব্যবসাথাপনায় ) চলত। (জনকন্ঠ) ১৪/১১/৯৯
সম্যাট আলমগীর ও বাদশা নাসির
উদ্দিনের হাতে লেখা কোরআন শরীফ সহ পুরনো তুলট
কাগজে হাতে লেখা তিন-চার বছরের ৮টি সম্পূর্ন ও আংশিক কোরআন
শরীফ সহ ১৫টি হাদিস
শরীফ সহ বহুসংখ্যক ধর্মগ্রন্থ
আছে এই জাদুঘরে।
গাছের
বাকলে লেখা ২টি সংস্কৃত পুঁথি, তিনশতাধিক বছরের পুরনো মনসা মঙ্গল ও সত্যপীরের পাঁচালিসহ
আরও অনেক গ্রন্থের পান্ডুলিপি আছে। কষ্টিপাথরের সুর্যদেব বিষুত ও মার্তৃকা মূর্তিসহ
নানা গবেষনা গ্রন্থ, ৯০টি দেশের মুদ্রা ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট
আব্রাহাম লিংকনের গেটিস ব্যগ এ্যাড্রেস ( এগুলো বর্তমানে সংরক্ষনের নিমিত্তে আঞ্চলিক জাদুঘরে স্থানামত্মরিত)।
ডাকটিকিট,ঘট, বাংলা অক্ষরের বর্ণনাক্রম বিভিন্ন শাসন আমলের টেরাকোটা, শিলা ও আকরিক, বিভিন্
গাছের পাতা সহ নানা দুর্লভ
বস্ত্ত, বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্যের এসব মহামূল্যবান বস্ত্ত যমেত্মর অভাবে এখন ধংসের মুখে ।
জনগনের
দাবী তারা যে প্রত্যাশা নিয়ে
এটি সরকারের নিকট হসত্মামত্মর করেছিল সেই আশ্বাস ও প্রত্যাশার বাসত্মবায়ন
এটি হলেই এবং সবিকভাবে রক্ষনাবেক্ষন করা হলে জাদুঘরটি ভবিষ্যৎ প্রজম্মের কাছে হয়ে উঠবে প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিক গবেষনার এক অসন্য।
কিভাবে
যাওয়া যায়:
নাটোর
জেলা সদর থেকে ৫০ কিঃমিঃ পূর্বে
গুরুদাসপুর উপজেলা থেকে ৪ কিঃ মিঃ
উত্তরে খুবজীপুর ইউনিয়নে চলনিবল যাদুঘর অবস্থিত। গুরুদাসপুুর উপজেলা থেকে যে কোনো যানবাহনে
যাওয়া যায়।