Tuesday, April 30, 2019

Karnaphuli Water Power Plant কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র

 Karnaphuli Water Power Plant কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র


বাংলাদেশে পানিশক্তি দ্বারা পরিচালিত একমাত্র বিদ্যুৎ স্থাপনা হলো কর্ণফুলি পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের ৫০ কিলোমিটার দুরবর্তী রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায় ১৯৬২ খ্রি: এই কেন্দ্রটি চালু করা হয়। কর্ণফুলি নদীর নির্ধারিত স্থানে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে সঞ্চিত পানির বিরাট জলাধার সৃষ্টি এবং পানির এই শক্তিকে গতিশক্তিতে রুপান্তর করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। এজন্য ৬৭০.৬ মিটার দীর্ঘ এবং ৪৫.৭ মিটার উঁচু বাঁধ তৈরি করা হয়। এই বাধেঁর পাশে ১৬ টি জলকপাট সংযুক্ত ৭৪৫ ফুট দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট একটি জল নির্গমনপথ বা স্পীলওয়ে রয়েছ। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য আগ্রহের একটি স্থান হলো স্পীলওয়ে। পানি পড়ার দৃশ্যটি পর্যটকদের নিকট খুবই উপভোগ্য। এই কেন্দ্রের কার্যক্রম দেখার জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়। এছাড়া বাইরে থেকে ইঞ্জিনচালিত বোট নিয়ে কেন্দ্রের স্পীলওয়ে দেখা যায়।

থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-কাপ্তাই-এ থাকা ও খাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউস ও বেসরকারী পর্যায়ে কিছু আবাসিক হোটেল আছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি অবস্থান করে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে যাওয়া যায়।

কিভাবে যাওয়া যায়:
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ-রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা)। বাস, মাইক্রো, অটোরিক্মা, ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রোযোগে কাপ্তাই/চন্দ্রঘোনা যাওয়া যায়। কাপ্তাই রিপিডিবি রিসিপশন গেইট হতে অনুমতি নিয়ে স্পীওয়ে দেখতে যেতে হবে।

Monday, April 29, 2019

Karnaphuli Paper Mills Ltd. কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেড

 Karnaphuli Paper Mills Ltd. কর্ণফুলী পেপার মিলস্ লিমিটেড


১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা নামক স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয় এশিয়ার বৃহত্তম কাগজের কল কর্ণফুলি পেপার মিলস্ লিমিটেড। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই এ প্রতিষ্ঠানটিকে জাতীয়করণ করা হয়। কাগজ উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল বাশেঁর প্রাপ্যতার উপর ভিত্তি করে কর্ণফুলি পেপার মিলটি চন্দ্রঘোনায় স্থাপন করা হয়। এই মিলে সাদা কাগজ এবং বাদামী ও অন্যান্য রঙ্গিন কাগজ উৎপাদিত হয়। এদেশে সরকারী চাহিদার প্রায় অর্ধেকের বেশি কাগজ সরবরাহ করে থাকে এ প্রতিষ্ঠানটি। ঐতিহ্যবাহী এ প্রতিষ্ঠানটি পর্যটকদের নিকট আকর্ষণীয় স্থান। এখানে বাঁশ ও পাল্পউড থেকে কাজগ তৈরির সকল পর্যায় দেখা যাবে। অনুমতি সাপেক্ষে এখানে প্রবেশ করা যাবে। এছাড়া রাইখালী থেকে এ বিশাল মিলটি দেখা যায়।

থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থাঃ-কাপ্তাই এ থাকা-খাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের রেস্টহাউস ও বেসরকারী পর্যায়ে কিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া রাঙ্গামাটি অবস্থান করে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন দর্শণীয় স্থানে যাওয়া যাবে।

কিভাবে যাওয়া যায়:
যাতায়াত ব্যবস্থাঃ-রাঙ্গামাটি থেকে জল ও স্থল উভয় পথেই কাপ্তাই যাওয়া যায় (সময় লাগে ১ থেকে ২ ঘন্টা)। বাস, মাইক্রো, অটোরিক্মা, ইঞ্জিনচালিত বোটযোগে যাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট হতেও বাস/মাইক্রোযোগে কাপ্তাই/চন্দ্রঘোনা যাওয়া যায়। এর চন্দ্রঘোনা পেপার মিল ১নং গেটে যেতে হবে।

Shakyamuni Vihar শাক্যমুনি বিহার

 Shakyamuni Vihar শাক্যমুনি বিহার


বোয়ালখালী উপজেলাধীন শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জৈষ্ঠ্যপুরায় অবস্থিত। এ তীর্থস্থানকে ঘিরে বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারীদের পূজা অর্চনা, ধর্মীয় উৎসব উদযাপন ও বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যক্রম সম্পাদিত হয়।

কিভাবে যাওয়া যায়:
বোয়ালখালী উপজেলা সদর হতে কানুনগোপাড়া সড়ক হয়ে জৈষ্ঠ্যপুরা গোলক মুন্সীর হাট হতে আধা কিলোমিটার উত্তরে বাস বা সিএনজি যোগে যাওয়া যায়।