চাঁদপুর-ঢাকা এবং ঢাকা-চাঁদপুর চলাচলকারী বিভিন্ন লঞ্চের নাম ও সময়সূচীঃ
চাঁদপুর-ঢাকা রুটে একসময় ঐতিহ্যবাহী ‘বেঙ্গল ওয়াটার’ নামে লঞ্চ সার্ভিস ছিল যা এখন আর নেই। তবে
এখন বেশ ক’টি উন্নতমানের
লঞ্চ প্রতিদিন ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচল করছে। এগুলির
মধ্যে আব-এ-জমজম, রফ
রফ, ময়ূর-১, ময়ূর-২, আল বোরাক, মেঘনা রাণী, ইমাম হাসান ইত্যাদি লঞ্চ সার্ভিসের নাম উল্লেখযোগ্য।
চাঁদপুর
নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন হরিণা-আলুবাজার ফেরী রুটটি সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পানিসম্পদ
মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক সাহেবের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২০০১ সালে চালু হয়। ফেরীঘাটটি
চালু করার উদ্দেশ্য হচ্ছে চট্রগ্রাম সিলেট অঞ্চলের সাথে মংলা বন্দরসহ খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের
সহজ যোগাযোগ স্থাপন করা। রুটটি
চালু থাকলে সড়কপথে চট্রগ্রাম থেকে মংলা যাতায়াতে ১২৮ কিঃ মিঃ পথ কম হয়। দক্ষিণ
ও পশ্চিমাঞ্চলের লোকজন ঢাকা না গিয়েই চট্রগ্রাম অঞ্চলে যাতায়াত করতে পারেন। ফলে
যাত্রীদের ৮/১০ ঘন্টা
সময় বেঁচে যায়। এ
জন্য বিআইডব্লিউটিএ প্রায় ৮ কোটি টাকা
ব্যয় করে হরিণায় ৬.৫০ একর
এবং আলুবাজারে ৫.০০একর জমির
উপর ২৮ টি সেমি পাকা স্থাপনাদি, বিশ্রামগার ও ৬ টি
টয়লেট কমপ্লেক্স এবং বিশাল পার্কিং ইয়ার্ড, ফেরী পন্টুন ইত্যাদি সুবিধাদি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু
শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরী ও নৌ-চলাচল
ব্যাহত হচ্ছে। হরিণা-আলুবাজার ফেরী রুটে অসংখ্য ডুবোচর রয়েছে। পরিকল্পিত
ড্রেজিং- এর মাধ্যমে সারা বছর নৌ-পথ সচল রাখা হলে ঘাটের গুরুত্ব ও যানবাহন
চলাচল বৃদ্ধি পাবে। হরিণা
ফেরীঘাট দিয়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৬০ টি যানবাহন
আসা যাওয়া করে।
উজানের
পানির চাপ/স্রোত না থাকায় বর্ষার শেষ দিকে নদীতে পলি পড়ে নদীর তলদেশে ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং মূল স্রোতধারা কয়েকভাগে বিভক্ত হয়ে নৌ-পথ সংকুচিত হয়ে আসছে। নাব্য
নৌ-পথে জলযান চলাচল করার জন্য যে সকল নৌ-সহায়ক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়। সেগুলি
জলদস্যু/দুস্কৃতিকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং চুরি
করে নিয়ে যায়।
নৌ-চলাচলের সহায়ক যন্ত্রপাতি যাতে জলদস্যু/দুস্কৃতিকারীরা চুরি/নষ্ট না করতে পারে এবং নৌ-পথে চলাচলরত জলযান পণ্য ও যাত্রীসাধারণের নিরাপত্তার জন্য
চাঁদপুরে কোষ্টগার্ডের একটি ষ্টেশন স্থাপন করা হয়েছে। এ
কারণে নৌ-বসতি বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে।
চাঁদপুর-ঢাকা চলাচলকারী লঞ্চসমূহের নাম ও সময়সূচী
ক্রঃ নং
|
লঞ্চের নাম
|
ছাড়ার সময়
|
০১
|
এম.ভি সোনার তরী
|
০৭২০
|
০২
|
এম.ভি ঈগল-১
|
০৮০০
|
০৩
|
এম.ভি ঈগল-২
|
০৯০০
|
০৪
|
এম.ভি নিউ আল বোরাক
|
০৯৩০
|
০৫
|
এম.ভি বোগদাদিয়া-৮/৯
|
১০৪০
|
০৬
|
এম.ভি শম্পা/ এম.ভি প্রিন্স অব রাসেল-৩
|
১১০৫
|
০৭
|
এম.ভি রফরফ
|
১২০০
|
০৮
|
এম.ভি আব এ জমজম
|
১৩০০
|
০৯
|
এম.ভি মেঘনারানী
|
১৪০০
|
১০
|
এম.ভি সোনারতরী
|
১৪৪০
|
১১
|
এম.ভি মিতালী-২
|
২১৪০
|
১২
|
এম.ভি ইমাম হাসান
|
২৩১০
|
১৩
|
এম.ভি আব এ জমজম-১/ এম.ভি তাকওয়া
|
২৩২০
|
১৪
|
এম.ভি ময়ুর-২
|
২৪১
|
ঢাকা-চাঁদপুর চলাচলকারী লঞ্চসমূহের নাম ও সময়সূচী
ক্রঃ নং
|
লঞ্চের নাম
|
ছাড়ার সময়
|
০১
|
এম.ভি সোনার তরী
|
০৭২০
|
০২
|
এম.ভি মেঘনারানী
|
০৮০০
|
০৩
|
এম.ভি ঝান্ডা/ এম.ভি লামিয়া
|
০৮০০
|
০৪
|
এম.ভি আব এ জমজম-১/ এম.ভি তাকওয়া
|
০৯০০
|
০৫
|
এম.ভি মিতালী-২
|
০৯৪০
|
০৬
|
এম.ভি স্বর্ণদ্বীপ-৮
|
১০২০
|
০৭
|
এম.ভি বোগদাদিয়া-৫
|
১১৩০
|
০৮
|
এম.ভি ইমাম হাসান
|
১২০০
|
০৯
|
এম.ভি ময়ুর-২
|
১৩৩০
|
১০
|
এম.ভি ঈগল-২
|
১৪৩০
|
১১
|
এম.ভি নিউ আল বোরাক
|
১৫৩০
|
১২
|
এম.ভি ঈগল-১
|
১৬৩০
|
১৩
|
এম. ভি সোনারতরী-১
|
১৭২০
|
১৪
|
কালাইয়া
|
১৮০০
|
১৫
|
পয়সারহাট
|
১৮০০
|
১৬
|
রাঙ্গাবালী
|
১৯৩০
|
১৭
|
হুলারহাট/বরগুনা
|
২০৩০
|
১৮
|
এম.ভি নিউসান-৪/ এম.ভি জলতরঙ্গ
|
২০৩০
|
১৯
|
এম. ভি আব এ জমজম
|
২৩৩০
|
২০
|
এম.ভি রফরফ
|
২৪০০
|
২১
|
এম.ভি শম্পা/এম.ভি প্রিন্স অব রাসেল-৩
|
২৪৩০
|