বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ২০১০
( ২০১০ সনের ৬১ নং আইন )
মেডিকেল
ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, ১৯৮০ রহিতক্রমে কতিপয় সংশোধনীসহ উহা পুনঃপ্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন
যেহেতু,
মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল
আইন, ১৯৮০ (১৯৮০ সনের ১৬ নং আইন) রহিতক্রমে কতিপয় সংশোধনীসহ উহা পুনঃপ্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল
পুনর্গঠন করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; এবং
সেহেতু
এতদ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইলঃ-
সংক্ষিপ্ত
শিরোনাম ও প্রবর্তন
১। (১)
এই আইন বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল
আইন, ২০১০ নামে অভিহিত হইবে।
(২)
ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।
সংজ্ঞা
২। বিষয়
বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-
(১)
‘‘অনুমোদিত হাসপাতাল’’ অর্থ সরকার এবং কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত কোন হাসপাতাল বা এইরূপ অন্য কোন প্রতিষ্ঠান যাহাতে কোন ব্যক্তি তাহার চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা অর্জনের পূর্বে তাহার পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভুক্ত প্রশিক্ষণ, যদি থাকে, গ্রহণ করিতে পারে;
(২)
‘‘কাউন্সিল’’ অর্থ এই আইনের অধীন গঠিত বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল;
(৩)
‘‘কার্যনির্বাহী কমিটি’’ অর্থ ধারা ৯ এর অধীন
গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি;
(৪)
‘‘ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ ডেন্টাল বা দন্ত চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রী, ডিপ্লোমা বা প্রশিক্ষণ প্রদানকারী কোন প্রতিষ্ঠান;
(৫)
‘‘তফসিল’’ অর্থ এই আইনের কোন তফসিল;
(৬)
‘‘নিবন্ধক’’ অর্থ কাউন্সিলের নিবন্ধক;
(৭)
‘‘নির্ধারিত’’ অর্থ বিধি বা প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত, অথবা অনুরূপ বিধি বা প্রবিধান প্রণীত না হওয়া পর্যন্ত সরকার বা কাউন্সিল কর্তৃক, সরকারী গেজেটে প্রকাশিত আদেশ দ্বারা, নির্ধারিত;
(৮)
‘‘বেসরকারি-ডেন্টাল কলেজ’’ অর্থ সরকারি ডেন্টাল কলেজ ব্যতীত সরকার এবং কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত অন্য কোন ডেন্টাল কলেজ;
(৯)
‘‘বেসরকারি মেডিকেল কলেজ’’ অর্থ সরকারি মেডিকেল কলেজ ব্যতীত সরকার এবং কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত অন্য কোন মেডিকেল কলেজ;
(১০)
‘‘মেডিসিন’’ অর্থ আধুনিক বৈজ্ঞানিক মেডিসিন, সার্জারী ও অবস্টেট্রিকস, কিন্তু
পশু চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত মেডিসিন ও সার্জারী ইহার
অন্তর্ভুক্ত হইবে না;
(১১)
‘‘মেডিকেল প্রতিষ্ঠান’’ অর্থ মেডিকেল চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রী, ডিপ্লোমা বা প্রশিক্ষণ প্রদানকারী কোন প্রতিষ্ঠান;
(১২)
‘‘রেজিস্টার’’ অর্থ ধারা ১৮, ১৯ বা ২০ এর অধীন সংরক্ষিত কোন রেজিস্টার;
(১৩)
‘‘সদস্য’’ অর্থ কাউন্সিলের সদস্য;
(১৪)
‘‘স্বীকৃত ডিপ্লোমা’’ অর্থ পঞ্চম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত স্বীকৃত কোন ডিপ্লোমা;
(১৫)
‘‘স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা’’ অর্থ চতুর্থ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত যে কোন চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা;
(১৬)
‘‘স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসক’’ অর্থ এই আইনের অধীন স্বীকৃত কোন ডেন্টাল চিকিৎসক;
(১৭)
‘‘স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা’’ অর্থ প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় তফসিলের অন্তর্ভুক্ত কোন মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা;
(১৮)
‘‘স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসক’’ অর্থ এই আইনের অধীন স্বীকৃত কোন মেডিকেল চিকিৎসক।
কাউন্সিল
প্রতিষ্ঠা
৩। (১)
এই আইন বলবৎ হইবার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল
নামে একটি কাউন্সিল প্রতিষ্ঠিত হইবে।
(২)
কাউন্সিল একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হইবে এবং ইহার স্থায়ী ধারাবাহিকতা ও একটি সাধারণ
সীল-মোহর থাকিবে, এবং ইহার স্থাবর ও অস্থাবর উভয়
প্রকার সম্পত্তি অর্জন করিবার, অধিকারে রাখিবার ও হস্তান্তর করিবার
এবং চুক্তি সম্পাদন করিবার ক্ষমতা থাকিবে, এবং ইহার নামে ইহা মামলা দায়ের করিতে পারিবে বা উহার বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা যাইবে।
কাউন্সিলের
গঠন
৪। (১)
কাউন্সিল নিম্নবর্ণিত সদস্য সমন্বয়ে গঠিত হইবে, যথাঃ
(ক)
জাতীয় সংসদের স্পীকার কর্তৃক মনোনীত আটজন সংসদ-সদস্য;
(খ)
মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পদাধিকারবলে;
(গ)
ভাইস-চ্যান্সেলর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, পদাধিকারবলে;
(ঘ)
মহাপরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর, পদাধিকারবলে;
(ঙ)
মহাপরিচালক,পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, পদাধিকারবলে;
(চ)
মহাপরিচালক, সেনাবাহিনী মেডিকেল সার্ভিসেস অধিদপ্তর, পদাধিকারবলে;
(ছ)
পরিচালক, চিকিৎসা-শিক্ষা ও স্বাস্থ্য জনশক্তি
উন্নয়ন, পদাধিকারবলে;
(জ)
পরিচালক, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ এন্ড সোশ্যাল মেডিসিন, পদাধিকারবলে;
(ঝ)
পরিচালক, নার্সিং সার্ভিসেস, পদাধিকারবলে;
(ঞ)
সভাপতি, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ানস এন্ড সার্জনস, পদাধিকারবলে;
(ট)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,
সিলেট এর চিকিৎসা অনুষদের ডীনগণ, পদাধিকারবলে;
(ঠ)
দেশের প্রত্যেক প্রশাসনিক বিভাগ হইতে ২(দুই) জন
করিয়া, সরকার কর্তৃক মনোনীত, মেডিকেল বা ডেন্টাল পেশায় নিয়োজিত স্বনামধন্য ব্যক্তি;
(ড)
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে নির্বাচিত, সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ, দুইজন সদস্য;
(ঢ)
স্থাপিত হইবার ভিত্তিতে দেশের প্রথম জ্যেষ্ঠ আটটি সরকারি মেডিকেল কলেজের মধ্য হইতে প্রত্যেক মেডিকেল কলেজ হইতে, সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ, একজন করিয়া শিক্ষক, যাহারা স্ব স্ব মেডিকেল কলেজের শিক্ষকমন্ডলী কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে নির্বাচিত হইবেন;
(ণ)
দফা (ঢ) এ বর্ণিত মেডিকেল
কলেজসমূহ ব্যতীত অন্যান্য সরকারি মেডিকেল কলেজসমূহের শিক্ষকমন্ডলী কর্তৃক নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে নির্বাচিত, সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এবং একটি মেডিকেল কলেজ হইতে একজনের বেশী নহে এইরূপ, তিনজন শিক্ষক;
(ত)
প্রত্যেক বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষকমন্ডলী কর্তৃক নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে নির্বাচিত, সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এবং একটি মেডিকেল কলেজ হইতে একজনের বেশী নহে এইরূপ, পাঁচজন শিক্ষকঃ
তবে
শর্ত থাকে যে, এইরূপ নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিগণের বয়স পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের বয়সসীমা হইতে বেশী হইতে পারিবে না;
(থ)
সরকারি ডেন্টাল কলেজের শিক্ষকমন্ডরী কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে নির্বাচিত, ডেন্টিস্ট্রিতে সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ, একজন শিক্ষক;
(দ)
প্রত্যেক বেসরকারি ডেন্টাল কলেজের শিক্ষকমন্ডলী কর্তৃক নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিনিগণ কর্তৃক তাহাদের মধ্য হইতে নির্বাচিত, ডেন্টিস্ট্রিতে সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ, একজন শিক্ষকঃ
তবে
শর্ত থাকে যে, এইরূপ নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিগণের বয়স পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের বয়সসীমা হইতে বেশী হইতে পারিবে না;
(ধ)
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন কর্তৃক মনোনীত উহার একজন সদস্য;
(ন)
বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিকেল প্র্যাকটিশনারস এসোসিয়েশন কর্তৃক মনোনীত উহার একজন সদস্য;
(প)
অ্যাটর্নী জেনারেল কর্তৃক মনোনীত একজন আইনজীবী;
(ফ)
বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি কর্তৃক মনোনীত উহার একজন সদস্য;
(ব)
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত, একজন যুগ্ম-সচিব ও যুগ্ম-সচিব
সমমর্যাদার নিম্নে নহেন এইরূপ পদমর্যাদাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ দুইজন কর্মকর্তা;
(ভ)
সরকার কর্তৃক মনোনীত মেডিকেল গবেষণা ও উন্নয়নের সহিত
জড়িত দুইজন স্বনামধন্য মহিলা; এবং
(ম)
প্রত্যেক বিশেষায়িত সরকারি মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হইতে তাঁহাদের শিক্ষক মন্ডলী কর্তৃক নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিগণ কর্তৃক তাঁহাদের মধ্যে নির্বাচিত, সহযোগী অধ্যাপক পদমর্যাদার নিম্নে নহেন এবং একটি প্রতিষ্ঠান হইতে একজনের বেশী নহে এইরূপ, দুই জন শিক্ষক।
(২)
উপ-ধারা (১) এর দফা (ড), (ঢ), (ণ), (ত), (থ), (দ) এবং (ম)-তে উল্লিখিত শিক্ষক প্রতিনিধিগণ কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচিত হইবেন।
(৩)
কাউন্সিলের মনোনীত ও দফা (ড),
(ঢ), (ণ), (ত), (থ), (দ) এবং (ম) এর অধীন নির্বাচিত সদস্যগণ তাহাদের মনোনয়ন বা, ক্ষেত্রমত, নির্বাচনের তারিখ হইতে ৩(তিন) বৎসর
মেয়াদে, স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন।
(৪)
উপ-ধারা (৩) এ উল্লিখিত মেয়াদ
শেষ হইবার পূর্বে মনোনয়নকারী কর্তৃপক্ষ মনোনীত কোন সদস্যকে তাহার পদ হইতে যে কোন সময় অব্যাহতি প্রদান করিতে পারিবে।
(৫)
কাউন্সিলের মনোনীত ও নির্বাচিত কোন
সদস্য, কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে, স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, তবে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক গৃহীত না হওয়া পর্যন্ত উক্ত পদত্যাগ কার্যকর হইবে না।
(৬)
কোন ব্যক্তি একই মেয়াদে একাধিক যোগ্যতায় কাউন্সিলের সদস্য হইতে বা থাকিতে পারিবেন না।
কাউন্সিলের
ক্ষমতা ও দায়িত্ব
৫। এই
আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল এর ক্ষমতা ও দায়িত্ব হইবে
নিম্নরূপ, যথাঃ
(১)
বাংলাদেশের মেডিকেল প্রতিষ্ঠান ও ডেন্টাল প্রতিষ্ঠানসমূহ
এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ কর্তৃক প্রদত্ত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা ও ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদান;
(২)
বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত মেডিকেল প্রতিষ্ঠান ও ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান
কর্তৃক প্রদত্ত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা ও ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদান;
(৩)
অন্য কোন দেশের মেডিকেল কাউন্সিল অথবা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনার মাধ্যমে সে দেশের মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা ও ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা বিষয়ে পারস্পরিক ভিত্তিতে স্বীকৃতি প্রদানসহ এতদ্সংক্রান্ত পরিকল্প গ্রহণ ও পরিচালনা;
(৪)
মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা এবং ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে
অভিন্ন ন্যূনতম মানসম্পন্ন পাঠ্যসূচি ও কোর্স প্রণয়ন
এবং উহার মেয়াদ নির্ধারণ;
(৫)
মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা ও ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষার স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে
ভর্তির নীতিমালা ও শর্তাদি নির্ধারণ;
(৬)
মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা ও ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ কোর্সে ভর্তির নীতিমালা ও শর্তাদি নির্ধারণ;
(৭)
মেডিকেল প্রতিষ্ঠান ও ডেন্টাল প্রতিষ্ঠানে
নিয়োগের জন্য শিক্ষকগণের ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মান
নির্ধারণ;
(৮)
এই আইনের অধীন স্বীকৃতির যোগ্য মেডিকেল প্রতিষ্ঠান ও ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান
কর্তৃক প্রদত্ত চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা ও পেশাগত যোগ্যতার
জন্য প্রয়োজনীয় মানসম্পন্ন পরীক্ষা, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় নির্ধারণ;
(৯)
এই আইনের অধীন নিবন্ধন সনদ প্রদান সংক্রান্ত পরীক্ষা গ্রহণ, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয় নির্ধারণ;
(১০)
এই আইনের অধীন স্বীকৃতির যোগ্য মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা ও ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বৃত্তিমূলক পরীক্ষার পরীক্ষকগণের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার মান
নির্ধারণ;
(১১)
স্বীকৃত মেডিকেল প্রতিষ্ঠান ও স্বীকৃত ডেন্টাল
প্রতিষ্ঠানের ভর্তিকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন;
(১২)
সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, তফসিলসমূহ সংশোধন;
(১৩)
স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসক এবং স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসকদের নিবন্ধন;
(১৪)
মেডিকেল চিকিৎসা-সহকারীদের নিবন্ধন;
(১৫)
নিবন্ধিত মেডিকেল চিকিৎসক ও ডেন্টাল চিকিৎসকদের
রেজিস্টার প্রণয়ন, প্রকাশ ও সংরক্ষণ;
(১৬)
নিবন্ধিত মেডিকেল চিকিৎসা-সহকারীদের রেজিস্টার প্রণয়ন, প্রকাশ ও সংরক্ষণ;
(১৭)
মেডিকেল প্রতিষ্ঠান এবং ডেন্টাল প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিদর্শন;
(১৮)
এই আইনের অধীন নিবন্ধন ও পরিদর্শন ফি
নির্ধারণ;
(১৯)
এই আইনের অধীনে নিবন্ধিত নহেন চিকিৎসা পেশায় নিয়োজিত এইরূপ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ;
(২০)
চিকিৎসা শাস্ত্র বিষয়ক ভূয়া পদবী, ডিগ্রী, প্রতারণামূলক প্রতিনিধিত্ব অথবা নিবন্ধন, ইত্যাদির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ;
(২১)
কাউন্সিলের সকল স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং
উহার হিসাব নিরীক্ষা;
(২২)
স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসক ও স্বীকৃত ডেন্টাল
চিকিৎসকদের জন্য অনুসরণীয় পেশাগত আচরণের মান ও তৎসম্পর্কিত নীতি
নির্ধারণ;
(২৩)
তফসিলভুক্ত বা তফসিল বহির্ভূত বাংলাদেশের বাহিরে এবং ভিতরে অবস্থিত যে কোন মেডিকেল বা ডেন্টাল চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ডিগ্রী বা ডিপ্লোমার মান মূল্যায়ন বা পুনঃমূল্যায়নপূর্বক সংশ্লিষ্ট তফসিল সংশোধন; এবং
(২৪)
উপরি-উক্ত ক্ষমতা ও দায়িত্ব এবং
এই আইনের অধীন অন্যান্য বিধানের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, প্রয়োজনীয় ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য
কার্যাবলী সম্পাদন।
কাউন্সিলের
সভা
৬। (১)
এই ধারার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে, কাউন্সিল উহার সভার কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।
(২)
কাউন্সিলের সভা উহার প্রেসিডেন্ট কর্তৃক নির্ধারিত স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত
হইবেঃ
তবে
শর্ত থাকে যে, প্রতি ছয় মাসে কাউন্সিলের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হইবে।
(৩)
কাউন্সিলের সকল সভায় উহার প্রেসিডেন্ট সভাপতিত্ব করিবেন, এবং তাঁহার অনুপস্থিতিতে কাউন্সিলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট সভাপতিত্ব করিবেন।
(৪)
১৫(পনেরো) জন সদস্য সমন্বয়ে কাউন্সিলের সভার কোরাম গঠিত হইবে।
(৫)
কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে কাউন্সিলের সকল সিদ্ধান্ত গৃহীত হইবে এবং ভোটের সমতার ক্ষেত্রে সভাপতিত্বকারী ব্যক্তির দ্বিতীয় বা নির্ণায়ক ভোট প্রদানের ক্ষমতা থাকিবে।
(৬)
শুধুমাত্র কাউন্সিলের কোন সদস্য পদ শূন্য অথবা কাউন্সিল গঠনে ত্রুটি থাকার কারণে কাউন্সিলের কোন কার্য বা কার্যধারা অবৈধ হইবে না, বা গৃহীত কোন সিদ্ধান্ত বাতিল হইবে না।
কাউন্সিলের
প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন
৭। (১)
কাউন্সিলের সদস্যগণ নিজেদের মধ্য হইতে কাউন্সিলের একজন প্রেসিডেন্ট, একজন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং একজন কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন করিবে।
(২)
কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে উপ-ধারা (১) এর অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে।
কাউন্সিলের
নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
৮। (১)
এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল উহার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, একজন নিবন্ধক (রেজিস্ট্রার) নিয়োগ করিবে।
(২)
নিবন্ধকের নিয়োগ ও চাকুরীর শর্তাবলী
সরকার কর্তৃক স্থিরীকৃত হইবে।
(৩)
কাউন্সিল উহার কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ
করিতে পারিবে।
(৪)
কাউন্সিলের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়োগ
ও চাকুরীর শর্তাবলী প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত হইবে।
কার্যনির্বাহী
কমিটি, ইত্যাদি
৯। (১)
কাউন্সিলের একটি কার্যনির্বাহী কমিটি থাকিবে।
(২)
কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং কাউন্সিল কর্তৃক নির্বাচিত উহার ৫ (পাঁচ) জন সদস্যসহ মোট ৭ (সাত) জন সদস্য সমন্বয়ে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হইবে।
(৩)
কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট, পদাধিকারবলে, কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস-প্রেসিডেন্ট হবেন।
(৪)
উপ-ধারা (৫) এর বিধান সাপেক্ষে, কাউন্সিলের পরিচালনা ও প্রশাসন কার্যনির্বাহী
কমিটির উপর ন্যস্ত থাকিবে, এবং কার্যনির্বাহী কমিটি কাউন্সিল কর্তৃক, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করিবে।
(৫)
কার্যনির্বাহী কমিটি উহার ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলী সম্পাদনের
ক্ষেত্রে কাউন্সিলের নিকট দায়ী থাকিবে এবং কাউন্সিল কর্তৃক, সময় সময়, প্রদত্ত নির্দেশনা, আদেশ ও নির্দেশ অনুসরণ
করিবে।
অন্যান্য
কমিটি গঠন
১০। (১)
কাউন্সিল, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, উহার সদস্যদের মধ্য হইতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অন্যান্য সাধারণ ও বিশেষ কমিটি
গঠন করিতে পারিবে।
(২)
উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত কমিটিসমূহের সদস্য সংখ্যা, কার্যপদ্ধতি এবং দায়িত্ব কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।
কাউন্সিলের
তহবিল
১১। (১)
এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল
তহবিল নামে কাউন্সিলের একটি তহবিল থাকিবে এবং উহাতে নিম্নবর্ণিত উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ জমা হইবে, যথাঃ-
(ক)
সরকার কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(খ)
সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, কোন বিদেশী সরকার, সংস্থা, আন্তর্জাতিক সংস্থা বা ব্যক্তি হইতে প্রাপ্ত অনুদান;
(গ)
কোন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত অনুদান;
(ঘ)
এই আইনের অধীন প্রদত্ত নিবন্ধন ফি ও পরিদর্শন ফি;
এবং
(ঙ)
অন্য কোন বৈধ উৎস হইতে প্রাপ্ত অর্থ।
(২)
উপ-ধারা (১) এর অধীন গঠিত তহবিল কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত কোন তফসিলী ব্যাংকে জমা রাখা হইবে এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত পদ্ধতিতে তহবিল হইতে অর্থ উত্তোলন করা যাইবে।
(৩)
কাউন্সিলের তহবিল হইতে কাউন্সিলের প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করা হইবে।
মেডিকেল
প্রতিষ্ঠানের মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি
১২। (১)বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্নাতক পর্যায়ের ডিগ্রীধারী কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে উক্ত ডিগ্রী ব্যবহার করিতে চাহিলে, উহা এই আইনের অধীন কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত হইতে হইবে।
(২)
বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্নাতক পর্যায়ে ডিগ্রী প্রদানকারী কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠানের নাম, যথাক্রমে, প্রথম বা দ্বিতীয় তফসিলে অন্তর্ভুক্ত না থাকিলে, উক্ত প্রতিষ্ঠানকে বা, ক্ষেত্রমত, উক্ত ডিগ্রীধারী ব্যক্তিকে এই আইনের অধীনে উক্ত যোগ্যতার স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
(৩)
উপ-ধারা (২) অনুযায়ী বাংলাদেশের বাহিরে অর্জিত ডিগ্রী সংশ্লিষ্ট দেশে মেডিকেল কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত হইলে, আবেদনকারী, কাউন্সিল নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিবে। পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ আবেদনকারী কাউন্সিল নির্ধারিত সময়ের ইন্টার্ণশীপ গ্রহণের জন্য সাময়িকভাবে নিবন্ধিত হইবে।
(৪)
উপ-ধারা (২) ও (৩) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল, এতদুদ্দেশ্যে নির্ধারিত মানদন্ড ও নীতিমালার আলোকে
যোগ্য বিবেচনা করিলে, আবেদনকারী বা, ক্ষেত্রমত, আবেদনকৃত মেডিকেল প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য প্রথম বা, ক্ষেত্রমত, দ্বিতীয় তফসিল সংশোধনক্রমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম উক্ত যোগ্যতাসহ সংশ্লিষ্ট তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করিবে।
মেডিকেল
চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্নাতকোত্তর ডিগ্রী বা ডিপ্লোমার স্বীকৃতি
১৩। (১)
বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্নাতকোত্তর ডিগ্রী বা ডিপ্লোমাধারী কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে উক্ত ডিগ্রী ব্যবহার করিতে চাহিলে, উহা এই আইনের অধীন কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত হইতে হইবে।
(২)
বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্নাতকোত্তর ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা প্রদানকারী কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠানের নাম তৃতীয় তফসিলের, যথাক্রমে, ‘‘ক’’ অংশে বা ‘‘খ’’ অংশে অন্তর্ভুক্ত না থাকিলে, উক্ত প্রতিষ্ঠানকে বা, ক্ষেত্রমত, উক্ত ডিগ্রীধারী ব্যক্তিকে এই আইনের অধীনে উক্ত যোগ্যতার স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
(৩)
উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল, নির্ধারিত মানদন্ড ও নীতিমালার আলোকে
যোগ্য বিবেচনা করিলে, আবেদনকারী বা, ক্ষেত্রমত, আবেদনকৃত মেডিকেল প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য তৃতীয় তফসিলের ‘‘ক’’ অংশ বা, ক্ষেত্রমত, ‘‘খ’’ অংশ সংশোধনক্রমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম উক্ত যোগ্যতাসহ উক্ত তফসিলের সংশ্লিষ্ট অংশে অন্তর্ভুক্ত করিবে।
ডেন্টাল
চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি
১৪। (১)
বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার ডিগ্রী বা ডিপ্লোমাধারী কোন ব্যক্তি বাংলাদেশে উক্ত ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা ব্যবহার করিতে চাহিলে, উহা এই আইনের অধীন কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত হইতে হইবে।
(২)
বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা প্রদানকারী কোন ডেন্টাল প্রতিষ্ঠানের নাম চতুর্থ তফসিলে অন্তর্ভুক্ত না থাকিলে, উক্ত প্রতিষ্ঠানকে বা, ক্ষেত্রমত, উক্ত ডিগ্রী বা ডিপ্লোমাধারী ব্যক্তিকে এই আইনের অধীনে উক্ত যোগ্যতার স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
(৩)
উপ-ধারা (২) অনুযায়ী বাংলাদেশের বাহিরে বিডিএস বা সমমানের অর্জিত ডিগ্রী সংশ্লিষ্ট দেশের কাউন্সিল কর্তৃক স্বীকৃত হইলে, আবেদনকারী, কাউন্সিল নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করিবে। পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ আবেদনকারী কাউন্সিল নির্ধারিত সময়ের ইন্টার্ণশীপ গ্রহণের জন্য সাময়িকভাবে নিবন্ধিত হইবে।
(৪)
উপ-ধারা (২) ও (৩) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল, নির্ধারিত মানদন্ড ও নীতিমালার আলোকে
যোগ্য বিবেচনা করিলে, আবেদনকারী বা, ক্ষেত্রমত, আবেদনকৃত ডেন্টাল প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদানের জন্য চতুর্থ তফসিল সংশোধনক্রমে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম উক্ত যোগ্যতাসহ উক্ত তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করিবে।
নিবন্ধনযোগ্য
মেডিকেল চিকিৎসা ডিপ্লোমা
১৫। (১)
বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত, ৩ (তিন) বৎসরের কম নহে এইরূপ সময়ব্যাপী, মেডিকেল চিকিৎসা-প্রশিক্ষণ সমাপ্তির পর উক্ত মেডিকেল চিকিৎসা ডিপ্লোমাধারী মেডিকেল সহকারীগণ এই আইনের অধীন কাউন্সিল কর্তৃক নিবন্ধিত হইবার যোগ্য হইবেন।
(২)
উপ-ধারা (১) এর অধীন ডিপ্লোমাধারী কোন মেডিকেল সহকারীকে এই আইনের অধীনে উক্ত ডিপ্লোমা নিবন্ধনের জন্য কাউন্সিলের নিকট আবেদন করিতে হইবে।
(৩)
উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল, নির্ধারিত মানদন্ড ও নীতিমালার আলোকে
যোগ্য বিবেচনা করিলে, আবেদনকারীর উক্ত ডিপ্লোমা নিবন্ধন করতঃ তাহাকে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিবন্ধন সনদ প্রদান করিবে এবং পঞ্চম তফসিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নাম উক্ত ডিপ্লোমাসহ অন্তর্ভুক্ত করিবে।
(৪)
উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধিত মেডিকেল সহকারীগণ কাউন্সিল কর্তৃক নির্ধারিত নীতিমালার অধীনে মেডিসিন, সার্জারী এবং মিডওয়াইফারী পেশায় নিয়োজিত থাকিতে পারিবেন।
স্বীকৃতিদানে
অসম্মতির জন্য কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল
১৬। (১)
ধারা ১২, ১৩, ১৪ বা ১৫ এর অধীন দাখিলকৃত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা বা ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদানের কোন আবেদন প্রত্যাখ্যান করিলে, কাউন্সিল, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, উক্ত প্রত্যাখানের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে জানাইবে এবং সংক্ষুদ্ধ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি, উক্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে অবগত হইবার ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে কাউন্সিলের বিরুদ্ধে সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবে।
(২)
উপ-ধারা (১) এর অধীন সংক্ষুদ্ধ প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আপীল করিলে, সরকার, উক্ত আবেদন প্রত্যাখ্যানের কারণসমূহ বিবেচনার জন্য ন্যূনতম ২ (দুই) জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ সর্বোচ্চ ৫(পাঁচ) সদস্যবিশিষ্ট
কমিটি কর্তৃক প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে, কাউন্সিলকে উক্ত মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষা-যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান বা স্বীকৃতি প্রদানপূর্বক সংশ্লিষ্ট তফসিল সংশোধন করিবার জন্য নির্দেশ প্রদান করিতে পারিবে।
স্বীকৃতি
প্রত্যাহার
১৭। (১)
যদি কাউন্সিলের নিকট কার্যনির্বাহী কমিটির কোন প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয় যে, মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা বা ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা সংক্রান্ত স্নাতক বা স্নাতকোত্তর যোগ্যতার কোন ডিগ্রী, ডিপ্লোমা বা সনদ অর্জনের জন্য বাংলাদেশের কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠান বা ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রণীত পাঠ্যসূচী, পরিচালিত পরীক্ষা অথবা উক্ত সনদ প্রদানের জন্য গৃহীত পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের কাঙ্খিত ব্যুৎপত্তির মান , নির্ধারিত মানদন্ড ও নীতিমালার আলোকে,
উক্ত যোগ্যতাসম্পন্ন একজন ব্যক্তির প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতার সমকক্ষ
নহে, তাহা হইলে কাউন্সিল, উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় মন্তব্যসহ, উক্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত বিষয়ে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, কৈফিয়ৎ পেশ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট মেডিকেল প্রতিষ্ঠান বা, ক্ষেত্রমত, ডেন্টাল প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রতিবেদনটি প্রেরণ করিবে।
(২)
যদি কাউন্সিলের নিকট কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো প্রতিবেদনে প্রতীয়মান হয় যে, মেডিকেল চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ডেন্টাল চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত, সরকার প্রদত্ত, সকল আদেশ, নির্দেশ, সার্কুলার বা নীতিমালা ইত্যাদি কোনো মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ডেন্টাল চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যথাযথভাবে প্রতিপালিত হইতেছেনা, তাহা হইলে, উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় মন্তব্যসহ, উক্ত প্রতিবেদনে উল্লিখিত বিষয়ে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে, কৈফিয়ৎ পেশ করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট মেডিকেল প্রতিষ্ঠান, বা ক্ষেত্রমত, ডেন্টাল প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রতিবেদনটি প্রেরণ করিবে।
(৩)
উপ-ধারা (১) ও (২) এর অধীন কৈফিয়ৎ প্রাপ্ত হইবার পর, অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কৈফিয়ৎ পেশ করা না হইলে উক্ত সময় অতিক্রান্ত হইবার পর, কাউন্সিল, উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় তদন্ত অনুষ্ঠানের পর, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের উক্ত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা বা ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা বা অতিরিক্ত যোগ্যতার উক্ত ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা নির্ধারিত সময়ের পর হইতে স্বীকৃত নহে মর্মে সংশ্লিষ্ট তফসিলের মন্তব্য কলামে উল্লেখক্রমে উক্ত তফসিল সংশোধন করিবে।
স্বীকৃত
মেডিকেল চিকিৎসকদের নিবন্ধন ও রেজিস্টারভুক্তকরণ, ইত্যাদি
১৮। (১)
এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল, পেশাদার ও স্বীকৃত মেডিকেল
চিকিৎসকদের নিবন্ধন করতঃ উহাদের নাম, এতদসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিবরণসহ, একটি রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করিবে, এবং উক্ত রেজিস্টার প্রকাশ ও সংরক্ষণ করিবে।
(২)
উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধন ও রেজিস্টারভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট
পেশাদার ও স্বীকৃত মেডিকেল
চিকিৎসককে কাউন্সিলের নিকট, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আবেদন করিতে হইবে।
(৩)
উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল, নির্ধারিত মানদন্ড ও নীতিমালার আলোকে
যোগ্য বিবেচনা করিলে, আবেদনকারী মেডিকেল চিকিৎসককে নিবন্ধন করতঃ নির্ধারিত পদ্ধতিতে, নিবন্ধন সনদ প্রদান করিবে।
(৪)
কাউন্সিল, তৎকর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পর, কোন পেশাদার ও স্বীকৃত মেডিকেল
চিকিৎসকের নাম উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধন ও রেজিস্টারভুক্ত করিবে না,
যদি না উক্ত চিকিৎসক
(ক)
উপ-ধারা (৪) এর অধীন সাময়িকভাবে নিবন্ধনকৃত হইয়া থাকেন এবং উক্ত সাময়িক নিবন্ধন পরবর্তী সময়ে চিকিৎসা শিক্ষার জন্য অনুমোদিত হাসপাতালে কাউন্সিল কর্তৃক অনুমোদিত ইন্টার্ণশীপ সম্পন্ন করিয়া থাকেন ; অথবা
(খ)
অনুমোদিত হাসপাতালে এইরূপ পদ বা পদসমূহে কর্মরত ছিলেন যাহা, কাউন্সিলের মতে, ইন্টার্ণশীপ সম্পন্ন করিবার অভিজ্ঞতা প্রদান করিয়াছে।
(৫)
কাউন্সিল, তৎকর্তৃক নির্ধারিত তারিখের পর, স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার অধিকারী প্রত্যেক ব্যক্তিকে সাময়িকভাবে নিবন্ধন করতঃ উপ-ধারা (১) এর অধীন সংরক্ষিত রেজিস্টারের একটি পৃথক অংশে অন্তর্ভুক্ত করিবে, যদি উক্ত ব্যক্তি এই মর্মে প্রমাণ দাখিল করেন যে, তিনি কোন অনুমোদিত হাসপাতালে আবাসিক নিয়োগের জন্য নির্বাচিত হইয়াছেন এবং উক্ত পদমর্যাদার কার্যরত থাকায় তিনি সার্বিক বিচারে একজন নিবন্ধনকৃত পেশাদার চিকিৎসক বলিয়া বিবেচিত হইবার যোগ্য।
(৬)
উপ-ধারা (৪) এর অধীন সাময়িকভাবে নিবন্ধিত কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন একজন পূর্ণাঙ্গ পেশাদার চিকিৎসক হিসাবে নিবন্ধিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে কাউন্সিল উক্ত ব্যক্তির নাম রেজিস্টারের উক্ত পৃথক অংশ হইতে বাদ দিবে।
(৭)
উপ-ধারা (৪) এর অধীন সাময়িকভাবে নিবন্ধনকৃত কোন ব্যক্তি যদি অনুমোদিত হাসপাতাল ব্যতীত অন্য কোথাও মেডিসিন, সার্জারী, অবস্টেট্রিকস ও গাইনীকোলজী বিভাগে
কর্মরত থাকেন, তাহা হইলে কাউন্সিল, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, প্রয়োজনীয় তদন্ত সাপেক্ষে, উক্ত ব্যক্তি উক্তরূপ কার্য হইতে বিরত থাকিবেন বলিয়া উপযুক্ত মুচলেকা পেশ না করা পর্যন্ত, তাহার নাম রেজিস্টার হইতে বাদ দিতে পারিবে।
(৮)
এই ধারার অধীন নিবন্ধিত বা সাময়িকভাবে নিবন্ধিত কোন ব্যক্তি তৃতীয় তফসিলে অন্তর্ভুক্ত কোন স্নাতকোত্তর চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা অর্জন করিলে, উক্ত ব্যক্তির আবেদনক্রমে, কাউন্সিল রেজিস্টারে উক্ত ব্যক্তির নামের সহিত তাহার উক্ত স্নাতকোত্তর চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা যুক্ত করিবে।
স্বীকৃত
ডেন্টাল চিকিৎসকদের নিবন্ধন ও রেজিস্টারভুক্তকরণ
১৯। (১)
এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল পেশাদার ও স্বীকৃত ডেন্টাল
চিকিৎসকদের নিবন্ধন করতঃ উহাদের নাম, এতদসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিবরণসহ, একটি রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করিবে এবং উক্ত রেজিস্টার প্রকাশ ও সংরক্ষণ করিবে।
(২)
উপ-ধারা (১) এর অধীন নিবন্ধন ও রেজিস্টারভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট
পেশাদার ও স্বীকৃত ডেন্টাল
চিকিৎসককে কাউন্সিলের নিকট, নির্ধারিত পদ্ধতিতে, আবেদন করিতে হইবে।
(৩)
উপ-ধারা (২) এর অধীন আবেদন প্রাপ্তির পর কাউন্সিল, নির্ধারিত মানদন্ড ও নীতিমালার আলোকে
যোগ্য বিবেচনা করিলে, আবেদনকারী ডেন্টাল চিকিৎসককে নিবন্ধন করতঃ নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধন সনদ প্রদান করিবে।
স্বীকৃত
ও নিবন্ধনকৃত ডিপ্লোমার অধিকারী মেডিকেল সহকারীদের রেজিস্টার-ভুক্তকরণ
২০। এই
আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল, ধারা ১৫ এর অধীন নিবন্ধনকৃত পেশাদার মেডিকেল সহকারীদের নাম, এতদসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিবরণসহ, একটি পৃথক রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করিবে, এবং উক্ত রেজিস্টার প্রকাশ ও সংরক্ষণ করিবে।
রেজিস্টারসমূহ
সরকারী দলিল হইবে
২১। ধারা
১৮, ১৯ ও ২০ এর
অধীন প্রণীত, প্রকাশিত ও সংরক্ষিত রেজিস্টারসমূহ
Evidence Act, 1872(Act I of 1872) এর
অধীন সরকারী দলিল বলিয়া গণ্য হইবে।
নিবন্ধন
ব্যতীত এলোপ্যাথি চিকিৎসা নিষিদ্ধ
২২। (১)
অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন নিবন্ধন ব্যতীত কোন মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এলোপ্যাথি চিকিৎসা করিতে, অথবা নিজেকে মেডিকেল চিকিৎসক বা, ক্ষেত্রমত, ডেন্টাল চিকিৎসক বলিয়া পরিচয় প্রদান করিতে পারিবেন না।
(২)
কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
নিবন্ধন
বাতিল ও রেজিস্টার হইতে
নাম প্রত্যাহার
২৩। (১)
এই আইনের অধীন নিবন্ধিত কোন পেশাদার মেডিকেল চিকিৎসক, ডেন্টাল চিকিৎসক বা মেডিকেল সহকারী এই আইনের কোন বিধান লংঘন বা নির্ধারিত পেশাগত আচরণ বা নীতিমালার কোন বিধান লংঘনের কারণে দোষী সাব্যস্ত হইলে, কাউন্সিল উক্ত ব্যক্তির নিবন্ধন বাতিলক্রমে সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার হইতে তাহার নাম প্রত্যাহার করিতে পারিবে।
(২)
কাউন্সিল, উহার বিবেচনাক্রমে, উপ-ধারা (১) এর অধীনে নিবন্ধন বাতিলকৃত ও রেজিস্টার হইতে
প্রত্যাহারকৃত ব্যক্তির নাম এই আইনের বিধান অনুসারে পুনরায় নিবন্ধন ও রেজিস্টারভুক্ত করিতে পারিবে।
কাউন্সিল
কর্তৃক নিবন্ধনকরণে অসম্মতি বা রেজিস্টার হইতে নাম প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল
২৪। (১)
ধারা ১৮, ১৯ বা ২০ এর অধীন নিবন্ধনকৃত ও রেজিস্টারভুক্ত হইবার যোগ্যতা
থাকা সত্ত্বেও, কাউন্সিল কোন ব্যক্তির নাম নিবন্ধন ও রেজিস্টারভুক্ত করিতে অসম্মত
হইলে বা নিবন্ধতকৃত ব্যক্তির নাম সংশ্লিষ্ট রেজিস্টার হইতে প্রত্যাহার করিলে, উহা লিখিতভাবে, উক্তরূপ অসম্মতি জ্ঞাপন বা প্রত্যাহারের ৯০ (নববই) দিনের মধ্যে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জানাইতে হইবে, এবং সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি উক্ত সিদ্ধান্ত প্রদানের ৬০ (ষাট) দিনের মধ্যে সরকারের নিকট আপীল করিতে পারিবেন।
(২)
উপ-ধারা (১) এর অধীন সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি আপীল করিলে, সরকার, কাউন্সিল কর্তৃক উক্ত অসম্মতি প্রদান বা, ক্ষেত্রমত, নাম প্রত্যাহারের কারণসমূহ বিবেচনার পর, এতদসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আদেশ প্রদান করিবে।
(৩)
উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রদত্ত আদেশ চূড়ান্ত বলিয়া গণ্য হইবে।
সরকার
ও কাউন্সিলের অনুমোদন ব্যতিরেকে শিক্ষা কার্যক্রম, ইত্যাদি নিষিদ্ধ
২৫। (১)
কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠান বা ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান সরকার ও কাউন্সিলের অনুমোদন
ব্যতিরেকে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তফসিলে
উল্লিখিত কোন মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা বা ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা সংক্রান্ত কোন শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণ, পাঠ্যসূচী প্রণয়ন, কোর্স পরিচালনা, প্রশিক্ষণ প্রদান অথবা এতদসংক্রান্ত কোন সনদপত্র, ডিগ্রী বা ডিপ্লোমা প্রদান করিতে পারিবে না।
(২)
কোন প্রতিষ্ঠান উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য উক্ত প্রতিষ্ঠান ৫ (পাঁচ) লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবে, এবং উহার অতিরিক্ত, উক্ত অপরাধ অব্যাহত থাকিলে প্রতিদিনের জন্য ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডনীয় হইবে।
ব্যাখ্যা।-যদি
ইহা প্রমাণিত হয় যে, উক্ত অপরাধ উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা অন্য কোন কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সম্মতিতে বা তাহাদের অবহেলার ফলে সংঘটিত হইয়াছে, তাহা হইলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের মালিক, পরিচালক, ব্যবস্থাপক, সচিব বা কর্মকর্তা উক্ত অপরাধের জন্য অপরাধী বলিয়া গণ্য হইবেন।
পাঠ্যসূচী
এবং পরীক্ষাসমূহ সম্পর্কে তথ্য তলব
২৬। (১)
কাউন্সিল, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চর্তুথ বা পঞ্চম তফসিলে উল্লিখিত মেডিকেল বা ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা, ডিপ্লোমা বা প্রশিক্ষণ এর স্বীকৃতি বা ক্ষেত্রমত, নিবন্ধন প্রদানের লক্ষ্যে, সংশ্লিষ্ট মেডিকেল প্রতিষ্ঠান, ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির নিকট হইতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পাঠ্যসূচী, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি, প্রশিক্ষণ ও এতদ্সংক্রান্ত বিষয়ে,
সময় সময়, প্রয়োজনীয় তথ্যাদি তলব করিতে পারিবে।
(২)
উপ-ধারা (১) এর অধীন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি কাউন্সিলকে, সময় সময়, তলবকৃত প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
পরিদর্শন
২৭। (১)
কাউন্সিল, এই আইনের অধীন স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা, অথবা ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার জন্য আবেদনকারী মেডিকেল প্রতিষ্ঠান বা ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত সংশ্লিষ্ট চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে, বাংলাদেশে অবস্থিত সংশ্লিষ্ট মেডিকেল প্রতিষ্ঠান বা ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত পাঠ্যসূচী, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া, প্রশিক্ষণ
এবং এতদ্সংক্রান্ত অন্যান্য কার্যক্রম সরেজমিনে পরিদর্শন করিতে পারিবে।
(২)
কাউন্সিল, উপ-ধারা (১) এর অধীন পরিদর্শনের নিমিত্ত, উহার বিবেচনায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক মেডিকেল পরিদর্শক ও ডেন্টাল পরিদর্শক
নিয়োগ করিতে পারিবে, এবং উক্ত পরিদর্শকবৃন্দ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা উহার পরীক্ষা পরিচালনা বা অন্যান্য কার্যক্রম পরিদর্শনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পাঠ্যসূচী, শিক্ষণের মান ও এতদসংক্রান্ত বিষয়ে
কার্যনির্বাহী কমিটির নিকট প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন প্রদান করিবেন।
(৩)
উপ-ধারা (২) এর অধীন প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর, কার্যনির্বাহী কমিটি উক্ত প্রতিবেদনের এক কপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট মেডিকেল প্রতিষ্ঠান বা ডেন্টাল প্রতিষ্ঠানের নিকট প্রেরণ করিবে এবং উহার বিষয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রদত্ত মন্তব্যসহ প্রতিবেদনের অনুলিপি সরকারের নিকট পেশ করিবে।
প্রতারণামূলক
প্রতিনিধিত্ব বা নিবন্ধনের দন্ড
২৮। (১)
যদি কোন ব্যক্তি প্রতারণার আশ্রয় লইয়া ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে একজন স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসক বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসক হিসাবে এই আইনের অধীনে নিবন্ধন, অথবা নিবন্ধন করিবার উদ্যোগ গ্রহণ, অথবা মিথ্যা বা প্রতারণামূলক প্রতিনিধিত্ব প্রকাশ করিবার চেষ্টা করেন অথবা মৌখিক বা লিখিতভাবে উক্তরূপ ঘোষণা করেন, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড অথবা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
(২)
উপ-ধারা (১) এর অধীন অপরাধ সংঘটনে সহায়তাকারী ব্যক্তি উক্ত উপ-ধারায় উল্লিখিত দন্ডে সমানভাবে দন্ডনীয় হইবেন।
(৩)
এই আইনের অধীন নিবন্ধনকৃত না হইয়াও যদি কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে এই আইনের অধীনে নিবন্ধনকৃত একজন মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক বলিয়া প্রতারণা করেন, অথবা প্রতারণামূলকভাবে তাহার নাম বা পদবীর সংগে নিবন্ধনকৃত মর্মে কোন শব্দ, বর্ণ বা অভিব্যক্তি ব্যবহার করেন, তাহার মিথ্যা পরিচয়ের দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তি প্রতারিত না হইলেও, তাহার উক্ত কার্য হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড বা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
ভূয়া
পদবী, ইত্যাদি ব্যবহার নিষিদ্ধ
২৯। (১)
এই আইনের অধীন নিবন্ধনকৃত কোন মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক এমন কোন নাম, পদবী, বিবরণ বা প্রতীক এমনভাবে ব্যবহার বা প্রকাশ করিবেন না যাহার ফলে তাহার কোন অতিরিক্ত পেশাগত যোগ্যতা আছে মর্মে কেহ মনে করিতে পারে, যদি না উহা কোন স্বীকৃত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা বা স্বীকৃত ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতা হইয়া থাকে। ন্যূনতম
এমবিবিএস অথবা বিডিএস ডিগ্রী প্রাপ্তগণ ব্যতিত অন্য কেহ তাহাদের নামের পূর্বে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করিতে পারিবেনা।
(২)
কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড বা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন, এবং উক্ত অপরাধ অব্যাহত থাকিলে, প্রত্যেকবার উহার পুনরাবৃত্তির জন্য অন্যূন ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থ দন্ডে, বর্ণিত দন্ডের অতিরিক্ত হিসাবে, দন্ডনীয় হইবেন।
নিষিদ্ধ
ঔষধ ব্যবস্থাপত্রে লিখার দন্ড
৩০। (১)
অন্য কোন আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন নিবন্ধনকৃত কোন মেডিকেল চিকিৎসক বা ডেন্টাল চিকিৎসক কোন রোগীর জন্য সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ কোন ঔষধ ব্যবস্থাপত্রে লিখিতে পারিবেন না।
(২)
কোন ব্যক্তি উপ-ধারা (১) এর বিধান লংঘন করিলে উক্ত লংঘন হইবে একটি অপরাধ, এবং তজ্জন্য তিনি ৩ (তিন) বৎসর কারাদন্ড বা ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডনীয় হইবেন।
বাজেট
৩১। কাউন্সিল
প্রতি বৎসর, ৩০ জুনের পূর্বে পরবর্তী অর্থ বৎসরের বাজেট প্রস্তুত করিবে এবং কাউন্সিল সভায় উহা অনুমোদন করাইবে.
হিসাব
রক্ষণ ও নিরীক্ষা
৩২। (১)
কাউন্সিল যথাযথভাবে উহার তহবিলের হিসাব রক্ষণ করিবে এবং হিসাবের বার্ষিক বিবরণী প্রস্ত্তত করিবে।
(২)
বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, অতঃপর
মহাহিসাব নিরীক্ষক নামে অভিহিত, বা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি প্রতি বৎসর কাউন্সিলের তহবিলের হিসাব নিরীক্ষা করিবেন এবং নিরীক্ষা প্রতিবেদনের একটি করিয়া অনুলিপি সরকার ও কাউন্সিলের নিকট
পেশ করিবেন।
(৩)
উপ-ধারা (২) এর অধীন হিসাব নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে মহাহিসাব নিরীক্ষক কিংবা তাহার নিকট হইতে এতদুদ্দেশ্যে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি কাউন্সিলের রেকর্ড, দলিল ও কাগজপত্র, নগদ
বা ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, জামানত, ভান্ডার এবং অন্যবিধ সম্পত্তি পরীক্ষা করিয়া দেখিতে পারিবেন এবং কাউন্সিলের যে কোন সদস্য, প্রেসিডেন্ট, ভাইস- প্রেসিডেন্ট, কোষাধ্যক্ষ, নিবন্ধক এবং কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করিতে পারিবেন।
প্রতিবেদন
৩৩। (১)
কাউন্সিল প্রতি বৎসর ৩০ জুনের মধ্যে পূর্ববর্তী ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্ত এক বৎসরের স্বীয় কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবে।
(২)
সরকার, যে কোন সময় কাউন্সিলের নিকট হইতে উহার যে কোন বিষয়ের উপর প্রতিবেদন বা বিবরণী তলব করিতে পারিবে এবং কাউন্সিল উহা সরকারের নিকট সরবরাহ করিতে বাধ্য থাকিবে।
সরল
বিশ্বাসে কৃতকার্য রক্ষণ
৩৪। এই
আইন বা তদধীন প্রণীত বিধি বা প্রবিধানের অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত কোন কার্যের ফলে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তজ্জন্য সরকার, কাউন্সিল বা উহার প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট, কোষাধ্যক্ষ বা নিবন্ধক বা অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন আইনগত কার্যধারা কোন আদালতে গ্রহণ করা যাইবে না।
তফসিলসমূহ
সংশোধন
৩৫। (১)
উপ-ধারা (২) এর বিধান সাপেক্ষে, কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এবং উহাতে নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে, নিম্নবর্ণিত উদ্দেশ্যে এই আইনের কোন তফসিল সংশোধন করিতে পারিবে, যথাঃ-
(ক)
বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত মেডিকেল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদান;
(খ)
বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন ডেন্টাল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত ডেন্টাল চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদান;
(গ)
বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত স্নাতকোত্তর চিকিৎসা-শিক্ষা যোগ্যতার স্বীকৃতি প্রদান;
(ঘ)
বাংলাদেশে অবস্থিত বা বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থিত কোন মেডিকেল প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত মেডিকেল চিকিৎসা-প্রশিক্ষণ সনদ বা ডিপ্লোমার স্বীকৃতি প্রদান।
(২)
কাউন্সিল, ধারা ১৬ এর উপ-ধারা (২) এর অধীন বা অন্য কোন কারণে সরকার কর্তৃক নির্দেশিত হইয়া, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা এবং উক্তরূপ নির্দেশে উল্লিখিত শর্তসাপেক্ষে, সংশ্লিষ্ট তফসিল সংশোধন করিবে।
বিধি
প্রণয়নের ক্ষমতা
৩৬। এই
আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে।
প্রবিধান
প্রণয়নের ক্ষমতা
৩৭। এই
আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, কাউন্সিল, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে এবং সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, প্রবিধান প্রণয়ন করিতে পারিবে।
(২)
উপ-ধারা (১) এ প্রদত্ত ক্ষমতার
সামগ্রিকতাকে ক্ষুণ্ণ না করিয়া, নিম্নবর্ণিত সকল বা যে কোন বিষয়ে প্রবিধান প্রণয়ন করা যাইবে, যথাঃ
(ক)
কাউন্সিলের সম্পত্তি পরিচালনা, সংরক্ষণ এবং উহার হিসাব নিরীক্ষা;
(খ)
কাউন্সিলের সভা পরিচালনা এবং এতদ্সংক্রান্ত বিষয়াদি নির্ধারণ;
(গ)
কার্যনির্বাহী কমিটি এবং অন্যান্য কমিটি নিয়োগের পদ্ধতি এবং উহাদের কার্য পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয়াদি নির্ধারণ;
(ঘ)
মেডিকেল পরিদর্শক এবং ডেন্টাল পরিদর্শকদের নিয়োগ, দায়িত্ব ও কার্যাবলী;
(ঙ)
অনুমোদনপ্রাপ্ত ও নিবন্ধনকৃত মেডিকেল
চিকিৎসক ও ডেন্টাল চিকিৎসকদের
রেজিস্টার প্রণয়ন, প্রকাশ ও সংরক্ষণ;
(চ)
নিবন্ধন ও পরিদর্শনের জন্য
প্রয়োজনীয় ফিস নির্ধারণ;
(ছ)
নিবন্ধন সনদ প্রদান সংক্রান্ত পরীক্ষা গ্রহণ, পরীক্ষা গ্রহণ পদ্ধতি এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় নির্ধারণ; এবং
(জ)
তদন্ত পদ্ধতি ও এতদ্সংক্রান্ত
বিষয়াদি নির্ধারণ।
রহিতকরণ
ও হেফাজত
৩৮। (১)
এতদ্বারা মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল
আইন, ১৯৮০ (১৯৮০ সনের ১৬ নং আইন) এর ইংরেজী ও বাংলা পাঠ,
অতঃপর উক্ত আইন বলিয়া উল্লিখিত, রহিত করা হইল।
(২)
উক্ত আইন রহিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে-
(ক)
উহার অধীন প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল,
অতঃপর বিলুপ্ত কাউন্সিল বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে;
(খ)
বিলুপ্ত কাউন্সিল এর তহবিল, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত
অর্থসহ সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি
এবং উক্ত সম্পত্তিতে বিলুপ্ত কাউন্সিল এর যাবতীয় অধিকার স্বত্ব ও স্বার্থ কাউন্সিল
এর উপর ন্যস্ত হইবে;
(গ)
বিলুপ্ত কাউন্সিল এর সকল ঋণ, দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত সকল চুক্তি যথাক্রমে কাউন্সিল এর ঋণ, দায়-দায়িত্ব এবং উহার দ্বারা বা উহার সহিত সম্পাদিত চুক্তি বলিয়া গণ্য হইবে;
(ঘ)
বিলুপ্ত কাউন্সিল কর্তৃক উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোন মামলা বা সূচিত অন্য কোন আইনগত কার্যধারা কাউন্সিল কর্তৃক বা উহার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত কোন মামলা বা সূচিত মামলা বা কার্যধারা বলিয়া গণ্য হইবে;
(ঙ)
বিলুপ্ত কাউন্সিল এর নিবন্ধক কাউন্সিল কর্তৃক, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, এই আইনের অধীন নিবন্ধক হিসাবে নিয়োজিত হইয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে, এবং এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে তিনি যে শর্তাধীনে নিয়োজিত ও কর্মরত ছিলেন
তাহা সরকার কর্তৃক পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে নিয়োজিত ও কর্মরত থাকিবেন;
(চ)
বিলুপ্ত কাউন্সিল এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাউন্সিল
এর কর্মকর্তা ও কর্মচারী হইবেন,
এবং এই আইন প্রবর্তনের পূর্বে তাহারা যে শর্তাধীনে চাকুরীতে ছিলেন, তাহা এই আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবর্তিত না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে চাকুরীরত থাকিবেন।
(৩)
উক্তরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও,-
(ক)
উক্ত আইনের অধীন প্রণীত কোন বিধিমালা বা প্রবিধানমালা, জারীকৃত কোন প্রজ্ঞাপন, প্রদত্ত কোন আদেশ, নির্দেশ, অনুমোদন বা সুপারিশ এই আইনের সহিত সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এবং এই আইনের অধীন রহিত বা সংশোধিত না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকিবে;
(খ)
উক্ত আইনের অধীন গঠিত কার্যনির্বাহী কমিটি ব্যতীত অন্য কোন কমিটি, উহার গঠন বা কার্যপরিধি এই আইনের বিধানের সহিত অসামঞ্জস্যপূর্ণ না হইলে, এইরূপে অব্যাহত থাকিবে যেন উক্ত কমিটি এই আইনের অধীনে গঠিত হইয়াছে;
(গ)
উক্ত আইনের অধীন নিবন্ধিত এবং রেজিস্টারভুক্ত সকল পেশাদার মেডিকেল চিকিৎসক, ডেন্টাল চিকিৎসক এবং মেডিকেল সহকারীগণ এই আইনের অধীন নিবন্ধিত এবং রেজিস্টারভুক্ত বলিয়া গণ্য হইবে।