বাঁধাকপির পুষ্টিগুণ
বাঁধাকপি
শুধু খেতেই সুস্বাদু নয়, এর রয়েছে আরও নানা গুণ। বাঁধাকপিতে
থাকা থাকা ম্যাঙ্গানিজ, ডায়াটারি ফাইবার, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন ই সুস্থতার জন্য
অপরিহার্য। জেনে
নিন বাঁধাকপির পুষ্টিগুণ সম্পর্কে।
বাঁধাকপিতে
রয়েছে সালপোরফেন-এর মতো অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান, যা শরীরে প্রদাহ বা ইনফ্ল্যামেশনের মাত্রা কমায়। শরীরে
ইনফ্ল্যামেশনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে একদিকে যেমন দেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ হয়, তেমনি ঝুঁকি বাড়ে ক্যানসারের মতো মারণ রোগেরও।
বাঁধাকপি
ফাইবারে ভরপুর। ফলে
এটি যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, তেমনি একাধিক পেটের রোগের সমস্যাও দূর করে।
বাঁধাকপিতে
রয়েছে একেবারে কম মাত্রায় ক্যালরি এবং কার্বোহাইড্রেট। ফলে
এটি খেলে ওজন বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনাই থাকে না।
কমপ্লিমেনটারি
অ্যান্ড অলটারনেটিভ মেডিসিনে প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে টানা ৬০ দিন বাঁধাকপি খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় চলে আসে। সেই
সঙ্গে রেনাল ফাংশনের উন্নতি ঘটে এবং ওজন কমতে শুরু করে।
বাঁধাকপিতে
প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং হাইপার-গ্লাইসেমিক উপাদান রয়েছে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।
বাঁধাকপিতে
রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম। এই
সবকটি উপাদানই হাড়ের সুস্থতায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
বাঁধাকপি
শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি দূর করে। আধা
কাপ সেদ্ধ বাঁধাকপিতে যে পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তা পুরো দিনের
চাহিদার প্রায় ৪৭ শতাংশ পূরণ করে। এছাড়াও
ভিটামিন কে-এর চাহিদা পূরণ করে প্রায় ১০০ শতাংশ।
বাঁধাকপিতে
থাকা ফোটোনিউট্রিয়েন্টস, যেমন পলিফেনল এবং গ্লুকোসিনোলেট শরীরে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদানের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে
হার্টের রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি ক্যানসার, অ্যালঝাইমারস এবং ম্যাকিউলার ডিজেনারেশনের মতো রোগের সম্ভাবনা দূর হয়।
প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন কে থাকায় নিয়মিত বাঁধাকপি খেলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। সেই
সঙ্গে নার্ভের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।
বাঁধাকপিতে
রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়।
Tags:
Beauty & Fitness