ডায়াবেটিস প্রতিকার ও প্রতিরোধ
ডায়াবেটিসের লক্ষণ
★ ঘন
ঘন প্রসাব।এ
কারণে এ রোগটির নাম
বহুমুত্র রোগ
★ অধিক
তৃষ্ণা এবং মুখ শুকিয়ে যাওয়া।
★ অতিশয়
দুর্বলতা
★ সার্বক্ষণিক
ক্ষুধা
★ স্বল্প
সময়ে দেহের ওজন হ্রাস
★ চোখে
ঝাপসা দেখা
★ ঘন
ঘন সংক্রমণ
ডায়াবেটিসের জটিলতাসমূহ
★ অতিরিক্ত
মেস এ রোগের অন্যতম
কারণ।
★ উপসহীনতা
বা অসচেতনতার কারণে চিকিৎসার অভাব।
★ কিডনী
বা বৃক্কের অক্ষমতার অন্যতম মূল কারণ ডায়াবেটিস।
কাদের ডায়াবেটিস
হতে
পারে
★ যে
কেউ যে কোনো বয়সে যে কোনো সময় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন।
তবে
তিন শ্রেণীর লোকের ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
★ যাদের
বংশে, যেমন মা বাবা বা রক্ত সম্পর্কিত নিকট আত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে।
★ যাদের
ওজন বেশি।
★ যারা
ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রমের কোন কাজ করেন না।
★ বহুদিন
ধরে কর্টিসোল জাতীয় ওষধ ব্যবহার করলে।
হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে
শর্করা
স্বল্পতা)
রক্তে
শর্করার পরিমাণ কমানোর জন্য ট্যাবলেট বা ইনসুলিন নেওয়ার ফলে যদি শর্করার পরিমাণ খুব কমে যায়। অর্থাৎ
২.৫ মিলি মোলের
কম হয় তাহলে শরীরে প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
প্রতিক্রিয়ার লক্ষণগুলি
নিম্নরূপ
★ অসুস্থ
বোধ করা
★ খুব
বেশি খিদে পাওয়া
★ বুক
ধড়ফড় করা
★ বেশি
ঘাম হওয়া
★ শরীর
কাঁপতে থাকা
★ শরীরের
ভারসাম্য হারিয়ে ফেলা
ডায়াবেটিস এ
খাদ্য
গ্রহণের
নীতি
★ শরীরের
ওজন বেশি থাকলে তা কমিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসা,
★ কম
থাকলে বাড়িয়ে স্বাভাবিক করা এবং ওজন স্বাভাবিক মাত্রায় থাকলে সেটা
বজায়
রাখা একান্ত আবশ্যক
★ চিনি-
মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিতে হবে।
★ শর্করা
বহুল খাবারগুলো (চাল, আটা দিয়ে তৈরী খাবার, মিষ্টি ফল ইত্যাদি) কিছুটা
হিসেব
করে খেতে হবে।
★ আঁশবহুল
খাবার (ডাল, শাক, সবজি, টক ফল ইত্যাদি) বেশি খেতে হবে।
★ সম্পৃক্ত
ফ্যাট (সাজুয়েটের ফ্যাট) যেমন- ঘি, মাখন, চর্বি, ডালডা, মাংস ইত্যাদি
কম
খাওয়া, পরিবর্তে অসম্পৃক্ত ফ্যাট (অনাসুজায়েটের ফ্যাট) যেমন- উদ্ভিদ,
তেল,
অর্থাৎ সয়াবিন তৈল এবং সব ধরনের মাছ খাওয়া অভ্যাস করতে হবে।
★ নির্দেশিত
খাদ্য তালিকা শিখে নিতে হবে।
★ গাইড
বইয়ে উল্লিখিত খাদ্য বিনিময় তালিকা শিখে নিতে হবে।
★ ক্যালরিবহুল
খাবার নির্দেশিত পরিমাণ খেতে হবে।
★ নির্দিষ্ট
সময়ে খাবার খেতে হবে।
★ কোন
বেলা খাওয়া বাদ দেওয়া ঠিক নয়।
ইনসুলিন সংরক্ষণ
প্রণালী
ইনসুলিন
ঠান্ডা জায়গা রাখা প্রয়োজন।না
হলে এর কর্মক্ষমতা কমে যায়। এক
মাসের বেশি সময় রাখতে হলে ফ্রিজ ২ থেকে ৮
সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় রাখতে হবে। গ্রামাঞ্চলে
যেখানে ফ্রিজ নেই বা যাদের বাসায় ফ্রিজ নেই তারা মাঝারি আকারের একটা মাটির হাড়িতে পরিষ্কার কাপড়ে ইনসুলিনের বোতল পেঁচিয়ে হাড়িতে চাকনি বন্ধ করে অপেক্ষাকৃত অন্ধকার ও ঠান্ডা জায়গায়,
যেমন- চৌকি বা খাটের তলায় বা আলমারীতে ইনসুলিন রাখতে পারেন। ফ্রিজ
না থাকলে এক মাসের প্রয়োজনের বেশী ইনসুলিন না কেনাই বাঞ্চনীয়।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
করণীয়
★ নিয়ম
করে অন্তত ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন, সাথে আপনার সন্তানকে বলুন আপনার
সাথে
যোগ দিতে। অপনার
উৎসাহ পারে তাদের সুস্থ রাখতে।
★ স্বাভাবিক
দেহ ওজন বজায় রাখা (বি এম আই ১৮/৫-৪.৯
এর মধ্যে রাখা) স্বাভাবিক ওজনের পুরুষের ৭০ শতাংশ ঝুঁকি কম থাকে এবং স্বাভাবিক ওজনের নারীদের ডায়াবেটিস হওয়ার আকাক্ষা ৭৮ শতাংশ কম।
ডায়াবেটিসের চিকিৎসা
ডায়াবেটিস
সম্পুর্ন সরানো বা নিরাময় করা যায় না।তবে
এ রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব এবং এই বিষয়ে চিকিৎসক রোগীকে সাহায্য করতে পারেন।
ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে চারটি নিয়ম মানতে হয়
★ শিক্ষা
★ সঠিক
খাদ্যাভাস
★ ব্যায়াম
★ প্রয়োজনে
ঔষধ
সবগুলি
সমন্বয়ের জন্য শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন যেমন নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা,নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ইত্যাদি। ডায়াবেটিস
পরীক্ষা করা,নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ইত্যাদি। ডায়াবেটিস
স্বাস্থ্য শিক্ষার মাধ্যমেই শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপন।
লেখক
: মেডিকেল ডিরেক্টর, আল আমিন হাসপাতাল প্রা. লিমিটেড ও সেক্রেটারি, লায়ন্স
জেলা ডায়াবেটিক অ্যাওয়ার্নেস কমিটি
Tags:
Beauty & Fitness