রংপুর কারমাইকেল কলেজ


সংক্ষিপ্ত বর্ণনা:
অতীত ঐতিহ্য ইতিহাসসমৃদ্ধ বাংলাদেশের জনপদগুলোর মধ্যে রংপুর অন্যতম। বর্তমান জেলা শহরের ব্যস্ততা কলকাকলি থেকে তিন মাইল দক্ষিণে স্তব্ধ,নিঝুম সমাহিত সবুজের সমারোহে সমুজ্জ্বল পরিবেশে আজও কারমাইকেল কলেজটি সগর্বে দাঁড়িয়ে আছে এবং হাতছানি দিয়ে ডাকছে অগণিত ছাত্র-ছাত্রী,শিক্ষার্থী ,জ্ঞানপিপাসু পর্যটকদের। তৎকালীন স্থানীয় যে সমস্ত হৃদয়বান, বিত্তবান জমিদারদেও সহযোগিতায় গড়ে উঠেছিল কারমাইকেল কলেজ জিএল রায় তাদের মধ্যে  ১৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠার জন্য নিয়ে একটি গঠন করা হয়।

কারমাইকেল কলেজের নামকরণ নিয়ে অনেকেরই কৌতুহল রয়েছে ।আসলে কারমাইকেল একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাঁর জীবন বৃত্তান্ত আলোচনা করলে দেখা যায় তিনি ১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই মার্চ এডিনবরায় জন্মগ্রহন করেন। ১৯৯১ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে তিনি মাদ্রাজের গভর্ণর হয়ে ভারতবর্ষে আসেন। ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে বিহার উড়িষ্যা বাংলা হতে আলাদা হলে তিনি একই খ্রিষ্টাব্দের ১লা এপ্রিল বাংলার প্রথম গভর্ণর নিুযুক্ত হন। তিনি একজন জনগণ নন্দিত গভর্ণর হিসেবে তাঁরই ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঢাকায় পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জরী পাশ হয়। তাঁর পুরোনাম টমাস ডেভিড ব্যারণ কারমাইকেল। ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কারমাইকেল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং তাঁরই নামানুসা্রে কলেজটির নামকরণ করা হয়। কলেজটির প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন . ওযাটকিনস। কলেজটির বিস্তৃতি প্রায় ৯শবিঘা জমি জুড়ে কলেজটির মূল ইমারত ভবনটি স্থাপত্য শিল্পের এক অপরূপ প্রাণবন্ত নিদর্শন।বিশেষ করে ডুম বা গম্বুজের ব্যবহার, বিভিন্ন স্থাপত্যিক সৌকযৃ বৈশিষ্টাবলীর চমৎকার সন্নিবেশ যা স্বভাবতই দর্শক সাধারনের মন কেড়ে নেয়।ডুমএকটি ল্যাটিন শব্দ।ডুমাসহতে ডুম শব্দটি এসেছে। ডুম বাংলা শাব্দিক অর্থ গম্বুজ এবং এর ব্যাপ্তির হলো মর্যাদাসম্পন্ন গৃহ বা পবিত্র উপাসনালয়। ফলে ধর্মীয় স্থাপত্য ডুম বা গম্বুজ নির্মিত হয়েছে।স্থাপত্যের পরিভাষায় অর্ধ গোলাকৃতি ভল্ট গম্বুজ নামে পরিচিত

কিভাবে যাওয়া যায়:
রিক্সা,অটোরিক্সা, প্রাইভেট কার,মাইক্রোবাস সহযোগে যাওয়া যায়।

Post a Comment

Previous Post Next Post