আজ
থেকে প্রায় ৭০০ শত বছর পূর্বে
আলা-উদ্দিন হুসাইন শাহ ছিলেন বাদশা। তখন এই সাতৈর গ্রামে
বহু আওলিয়ার বসবাস ছিলেন। তাদের মধ্যে হযরত শাহ সুফী শায়েখ শাহ ছতুরী (রাঃ) এর মুরিদ ছিলেন
আলাউদ্দিন হুসাইন শাহ। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি সেই
সময়ে নির্মিত হয়। সাতৈর মাহী মসজিদের পাশ ঘেঁষেই গেছে ঐতিহাসিক গ্রান্ড ট্রাংক রোড বা শের শাহ
সড়ক। কেউ কেউ মনে করেন সাতৈর শাহ মসজিদ শের শাহের আমলের কীর্তি। মসজিদটি সম্পর্কে অনেক কাহিনী এলাকায় প্রচলিত আছে। যেমন (১) মসজিদ খানা
আলাহর হুকুমে এক রাত্রে মাটি
ফেটে গজিয়ে ওঠে (২) মসজিদের ভিতরের
খুঁটি চারটি বিভিন্ন সময়ে হাসি-কান্না করে (৩) মসজিদের পিলারগুলোর
কাছে কাছে যা আশা করা
যায় তাই পাওয় যায় (৪) মসজিদের ইট
বাড়িতে রাখলে উঁই পোকা লাগে না (৫) মসজিদের ধুলি
গায়ে মাখলে যে কোন ব্যাধি
থেকে মুক্তি পাওয়া যায় (৬) মসজিদে এসে
মানত করলে নিঃসন্তানদের সন্তান হয়। এ কথাগুলো বিশ্বাস
করেই প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে বহু লোক নানা ধরণের মানত নিয়ে আসে।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
সাতৈর
শাহী জামে মসজিদের যাবার উপায়ঃ ফরিদপুর হতে সড়কপথে মাঝাকান্দি। মাঝকান্দি-গোপালগঞ্জ মহাসড়কের সাতৈর নামক স্থানে (মহাসড়কের সাথে ) মসজিদটি অবস্থিত।