বৃটিশ
ও জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের দাবীতে বৃহত্তর উত্তর ময়মনসিংহের কৃষকগণের সংগ্রাম কৃষক
বিদ্রোহ ও টংক আন্দোলন
নামে পরিচিত। আন্দোলনের প্রাণ শক্তিই ছিল আদিবাসী কৃষকগণ। তাঁদের এ মহান আত্মত্যাগের
স্বীকৃতি ও শ্রদ্ধা স্বরুপ
সুসং দুর্গাপুরে এম.কে.সি.এম সরকারী স্কুলের
পশ্চিম পার্শ্বে ৩২ শতাংশ জমির
উপর টংক শহীদ স্মৃতি সৌধ নির্মাণ করা হয়। এখানে প্রতি বছর ৩১শে ডিসেম্বর মহান নেতা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কমরেড মনি সিং এর মৃত্যু বার্ষিকী পালন
করা হয়। মনিমেলা নামে এ অনুষ্ঠান
৭ দিন যাবৎ চলে।
বৃটিশ
ও জমিদারী প্রথা উচ্ছেদের দাবীতে বৃহত্তর উত্তর ময়মনসিংহের কৃষকগণ ১৯৩৬ হতে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত সংগ্রাম আন্দোলন চালিয়ে যায়। এটি কৃষক বিদ্রোহ ও টংক আন্দোলন
নামে পরিচিত। আন্দোলনের প্রাণ শক্তিই ছিল আদিবাসী কৃষকগণ, বিশেষ করে হাজং আদিবাসীগণ (ললিত সরকার হাজং, বিপিন গুন, পরেশ হাজং, রেবতী অস্বমনি ও রাশমনির নেতৃত্বে
এ আন্দোলন সংগঠিত হয়)। বাংলাদেশের
কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও মেহনতি মানুষের
নেতা কমরেড মনি সিংহ ১৯৪০ সালে দশাল গ্রামের বাঙ্গালী কৃষকদেরকে নিয়ে এ আন্দোলন শুরু
করেন। পরবর্তীতে তিনি এ আন্দোলনের নেতৃত্ব
দেন। সূদীর্ঘ ১৩ বছর আন্দোলন
সংগ্রামে এ অঞ্চলের বহু
কৃষক প্রাণ হারান।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
উপজেলা
পরিষদ থেকে ৫০০ মিটার দক্ষিণে এমকেসিএম সরকারী হাই স্কুল সংলগ্ন টংক স্মৃতি সৌধ।