মিনি
কক্সবাজার বেশি দুরে নয় নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার
উপজেলায় এর অবস্থান। একদিকে
মেঘনা নদীর বিশাল জলরাশি। অপরদিকে তীরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বালুময় প্রান্তর। উপজেলার বিশনন্দি ইউনিয়নের অর্ন্তগত বিশনন্দি ফেরিঘাট এলাকাটিই সবার কাছে বিগত কয়েক বছরে মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বিভিন্ন ঈদুল
ফিতরের ছুটির দিনগুলোতে ভ্রমণ
পিপাসু মানুষ ছুটে গিয়েছিল আড়াইহাজার উপজেলার মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিত বিশনন্দী ফেরীঘাটে। প্রতিটি ঈদের দিন থেকেই এখানে দর্শনার্থীদের উপচে
পড়া ভীড় থাকে।
একদিকে
বিশাল জলরাশি বুকে নিয়ে বয়ে চলেছে খরস্রোতে মেঘনা নদী। অন্যপাশে রয়েছে
বিস্তীর্ন সমতল ভূমি। সমতলের রাশি রাশি বালু কনা সারাক্ষন ভ্রমণ
পিপাসু মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে । ফলে বিশনন্দী
ফেরীঘাট এলাকায় লক্ষ্য করা যায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় । ঈদের দিন
থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদভারে বিশনন্দী মেঘনা ফেরীঘাট এবং তার আশপাশ এলাকা এখন মুখরিত। একটি ফেরীঘাট নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দি ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামটির চিত্র সম্পুর্ণ বদলে দিয়েছে। চিরচেনা মানিকপুর গ্রামটি ক্রমেই পরিচিতি লাভ করছে ‘মিনি কক্সবাজার’ হিসেবে।
ঢাকা
থেকে দুরত্ব মাত্র ৪৩ কিলোমিটার।
দর্শনার্থীদের
কাছে বিশনন্দী ফেরী ঘাট এখন ‘মিনি কক্সবাজার’ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে।
একটু উদ্যোগ নিলেই এই স্পটটি হতে
পারে একটি চমৎকার পর্যটন কেন্দ্র। গত বছর বাঞ্ছারামপুর
ও আড়াইহাজার
উপজেলার সেতুবন্ধন বিশনন্দী - কড়ইকান্দি ফেরী চালু হওয়ায় পর থেকে দর্শনার্থীদের
উৎসাহ আরো বেড়েছে।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
ঢাকার
জিরো পয়েন্ট থেকে আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দী ফেরিঘাটের দুরত্ব প্রায় ৪৩ কিলোমিটার। সায়েদাবাদ
থেকে সরাসরি বাসযোগে বিশনন্দী ফেরিঘাটে পৌছা যায়। নারায়ণগঞ্জ থেকে সড়কপথে কাচঁপুর ব্রীজ হয়ে মদনপুর চৌরাস্তা হয়ে ঢাকা-নরসিংদী রোডে সিএনজিযোগে সরাসরি বিশনন্দী ফেরিঘাটে পৌছা যায়।