জাতীয় বিজ্ঞান
ও
প্রযুক্তি
জাদুঘর
বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তির সাথে দেশের মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে বর্তমান ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের শেরেবাংলা নগর থানার আগারগাঁও তে ১৯৬৫ সালের
২৬ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় জাতীয় বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তি জাদুঘর। জাদুঘরটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রানালয়ের
তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে মোট ৭টি গ্যালারী, প্রবেশ ও বাহির হওয়ার
জন্য দুটি আলাদা পথ এবং ঘুরে
দেখানোর জন্য গাইড রয়েছে। এছাড়া আকাশ মেঘমুক্ত থাকা সাপেক্ষে প্রতি শনি ও রবিবার সন্ধ্যার
পরে টেলিস্কোপের সাহায্যে আকাশ পর্যবেক্ষনের আয়োজন করে থাকে কর্তৃপক্ষ।
পরিদর্শন ও
সময়সূচী
প্রত্যেক
শনি থেকে বুধবার জাদুঘর সকাল ৯.০০ টা
থেকে বিকাল ৫.০০ পর্যন্ত
দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার এবং
সকল সরকারী ছুইটির দিনগুলোতে জাদুঘর বন্ধ থাকে। মূল ফটকের সাথেই টিকেট কাউন্টার। ৫ বছরের নীচ
বাচ্চা ছাড়া সকল বয়সীদের টিকেট মূল্য ৫ টাকা। এখানে
বিনা পয়সায় পরিদর্শনের কোন সুযোগ নেই। সূর্য ও চন্দ্র গ্রহনের
দিন দর্শনার্থীর সংখ্যা তুলনামূলক বেশী হয়।
ভবন প্রাঙ্গন
জাদুঘর
প্রাঙ্গনে ৪ তলা বিশিষ্ট
একটি ভবন রয়েছে। এই ভবনের ১ম
ও ২য় তলাতে গ্যালারী,
৩য় তলায় অফিস এবং ৪র্থ তলায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী অবস্থিত। গ্যালারীগুলো হলো সাইন্স গ্যালারী, ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি গ্যালারী, বাইয়োলজি গ্যালারী, ইনফরমেশন টেকনোলজি গালারী, ফান সাইন্স গ্যালারী এবং ইয়ং সাইন্টিস্ট প্রোজেক্ট গ্যালারী। এখানে একটি লাইব্রেরী, ওয়ার্কশপ ও অডিটোরিয়াম রয়েছে।
ভবনে দর্শনার্থীদের ওঠানামা করার জন্য পর্যাপ্ত সিড়ি পথ এবং কর্তৃপক্ষের
ওঠা নামার জন্য একটি লিফট রয়েছে। এছাড়া ভবন প্রাঙ্গনে একটি ডাইনোসরের মূর্তি এবং একটি ছোট যুদ্ধ বিমান রয়েছে।
অন্যান্য আয়োজন
এই
জাদুঘরের রেজিষ্ট্রিকৃত ১১৮টি বিজ্ঞান ক্লাব রয়েছে। এই বিজ্ঞান ক্লাবগুলো
বিজ্ঞান বিষয়ক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য জাদুঘর অডিটিরয়াম ভাড়া নিতে পারে। এছাড়া জেলা পর্যায়ের বিজ্ঞান মেলা, দল ভিত্তিক পরিদর্শন
শেষে সাধারন কুইজের আয়োজন, বিজ্ঞান বক্তৃতার আয়োজন এবং আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।
বিধি নিষেধ
জাদুঘরের
ভিতরে ছবি তোলা এবং হৈ হুল্লুর করা
সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ। দর্শনার্থীর সঙ্গে বহন করা ব্যাগ, ক্যামেরা ইত্যাদি কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রবেশ করতে হয়।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
ঢাকার
ফার্মগেট এলাকা থেকে যে কোন বাস,
টেম্পো, সিএনজি ও রিকশাযোগে শেরেবাংলা
নগর এলাকায় যাওয়া যায়।