ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা
প্রাকৃতিক
সৌন্দর্যের অনন্য মনলোভা দর্শণীয় স্থান হলো ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা। পানি প্রবাহিত ছড়ায়
পাথরের উপর আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথ হেঁটে এই ঝর্ণা দেখতে যাওয়াও রোমাঞ্চকর। এই
ঝর্ণায় দৃষ্টিনন্দন শৈল্পিক সৌন্দর্য অবলোকন করে চারদিকে তাকালে প্রকৃতির বিচিত্র
রুপ ও পাহাড়ি ঢেউ ছাড়া আর কিছুই নজরে পড়ে না। বিলাইছড়ি সদরে ধুপ্যাচর ও দীঘলছড়ি এ
দু সেতুর কাছে দর্শণার্থীদের সমাগম ঘটে। এখানে দর্শণার্থীরা লেকের স্বচ্ছ জলরাশি ও
সবুজ পাহাড়ের দুরের দুশ্যাবলী অবলোকন করে। এই স্থানে আসলে উপজাতীয় সংস্কৃতি ও
ঐতিহ্য বাস্তবে দেখা ও জানা যায়। চারদিকে সবুজ অরণ্যে ঘেরা প্রকৃতির অপরুপ
সৌন্দর্যের আরেক দর্শণীয় স্থান হলো প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য মনলোভা দর্শণীয় স্থান ন-কাবা ছড়া ঝর্ণা।
চারদিক সবুজ অরণ্যবেষ্টিত প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের আরেক দর্শণীয় স্থান
হলো বিলাইছড়ির পাংখোপাড়া। বিলাইছড়ি সদর থেকে প্রায় ২ ঘন্টা সময়ে ইঞ্জিনচালিত বোটে
করে পাংখোপাড়ায় যেতে হয়। সেখানে দেখা যাবে আঁকা-বাঁকা সর্পিল নদীপথ। মনোমুগ্ধকর
সবুজের মুগ্ধতম সুউচ্চ সিড়িঁ বেয়ে পাহাড়ের চূড়ায় পাংখোয়া সম্প্রদায়ের আবাসস্থলে
যাওয়া ও হেলিপ্যাডে উঠে প্রকৃতির নিসর্গ অবলোকন করা যাবে। হেলিপ্যাডটি পাহাড়ের
চূড়ায় খুবই উঁচুতে হওয়ায় এটিকে বিলাইছড়ির ছাদ বলা যেতে পারে। ওখান থেকে বিলাইছড়ি
টিএন্ডটি টাওয়ার, চারদিকে সবুজে
ঢাকা পাহাড়, হৃদের উপরি অংশের
প্রকৃতির নিসর্গ উপভোগ করা যায়। তাছাড়া যদি ফারুয়ায় যানর তাহলে যাবার পথে দেখতে
পানেব স্থাপত্যকীর্তির ন্যায় অনিন্দ্য সুন্দর শৈল্পিক পাহাড়।
থাকা-খাওয়ার
ব্যবস্থাঃ-এখানে কোন আবাসিক হোটে এবং খাও-দাওয়ার সুব্যবস্থা নেই।
কিভাবে যাওয়া
যায়:
যাতায়াত
ব্যবস্থাঃ-ঢাকা থেকে শ্যামলী, মডার্ণ ও এস আলম
বাসে করে কাপ্তাই এসে কাপ্তাই জেটিঘাটস্থ লঞ্চঘাট থেকে ইঞ্জিনবোটে করে বিলাইছড়ি
আসবেন। বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে ৩/৪ ঘন্টার মধ্যে বিলাইছড়ি আসা যায়। কেউ
চট্টগ্রাম থেকে বিলাইছড়ি আসলে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে প্রথমত কাপ্তাই
জেটিঘাটে আসবেন। প্রতিদিন সাড়ে ৭ টায় রাঙ্গামাটির তবলছড়ি ঘাট থেকে ইঞ্জিনবোট
যাত্রী নিয়ে সকাল ১০টার মধ্যে বিলাইছড়ি পৌছেঁ। ওই বোটটি আবার বিলাইছড়ি থেকে দুপুর
২টার মধ্যে রাঙ্গামাটির উদ্দেশ্যে ছাড়ে। বিলাইছড়ি সদরস্থ লঞ্চঘাট নতুবা নলছড়ি নামক
স্থান থেকে ইঞ্জিনবোটে করে বিলাইছড়ি ডেবারা মাথায় এসে ওখান থেকে ন-কাবা ছড়া ঝর্ণায়
যেতে হবে।