Chittagong Port



পার্বত্য চট্টগ্রামের উত্তর পূর্বে পর্বত শ্রেণি থেকে উৎপন্ন এবং বঙ্গোপসাগরে পতিত কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। সমুদ্র হতে কয়েক মাইল অভ্যন্তরে গভীর সমুদ্রে নোঙর করার সুবিধাই এ বন্দরের প্রধান বৈশিষ্ট্য। বঙ্গোপসাগরের বাইরের দিকে বালুচর হতে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে প্রধান ঘাট পর্যন্ত চলমান দূরত্ব হচ্ছে ১৬ কিলোমিটার।
বন্দরের অবস্থান এবং এর স্বাভাবিক পোতাশ্রয় একে খ্রিস্টীয় নবম শতাব্দী হতে ব্যবসা বাণিজ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত করেছে। ঐ সময় আরব বণিকদের নিকট এটি ছিল লাভজনক বাণিজ্য কেন্দ্র। পনেরো শতকের শুরু থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য কেন্দ্র। চৈনিক পর্যটক মাহুয়ান একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ১৪০৫ সালে চট্টগ্রাম আসেন। তিনি চট্টগ্রামকে (চিট-লে-গান) একটি বন্দর হিসেবে উল্লেখ করেছেন যেখানে চৈনিক বাণিজ্যিক জাহাজ প্রায়শঃ যাতায়াত করতো। ইউরোপীয়দের মধ্যে পর্তুগীজরাই প্রথম চট্টগ্রামে আগমন করে। পর্তুগীজরা প্রথমে জনদ্য সিলভিরার নেতৃত্বে ১৫১৭ সালে এবং পরে আলফন্সো দ্য মিলোর নেতৃত্বে ১৫২৭ সালে চট্টগ্রাম দখলের ব্যর্থ চেষ্টা করে। শেষ পর্যন্ত তারা শেরশাহ শূরের বিরুদ্ধে বাংলার সুলতান মাহমুদ শাহকে সাহায্য করার বিনিময়ে তারকা থেকে চট্টগ্রাম ও সাতগাঁওয়েরও অধিকার লাভ করে। পর্তুগীজদের অধীনে চট্টগ্রামের সমৃদ্ধি ঘটে এবং একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্রে পরিণত হয় ‘পোর্টোগ্র্যান্ডে’ (porto grande) বা বিশাল বন্দর নামে পরিচিত হয়। পক্ষান্তরে সাতগাঁও বন্দরের নামকরণ হয় ‘পোর্টোপেকুইনে’। 

কিভাবে যাওয়া যায়:
উক্ত দশর্নীয় স্থানে যাওয়ার জন্য বাস বা অটোরিক্সা ব্যবহার করা যেতে পারে।

Post a Comment

Previous Post Next Post